৬৪ তম সুব্রত কাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের জুনিয়র বয়েজ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল কেরলের ফারুক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, কেরালা । তারা আমেনিটি পাবলিক স্কুল, সিবিএসই-কে ২-০ গোলে পরাজিত করে। ম্যাচটি নয়াদিল্লির আম্বেদকর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী দলের পক্ষে গোল করেন তাকহেলাম্বা (২০’) এবং আদিকৃষ্ণ (৬২’)।
এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং PVSM AVSM, চিফ অফ দ্য এয়ার স্টাফ এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় স্পোর্টস এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন। এই অনুষ্ঠানে তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অলিম্পিয়ান এবং ভারতীয় শুটিং দলের সদস্য দিব্যাংশ সিং পানওয়ার, যিনি ফাইনালের গেস্ট অফ অনার ছিলেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং বলেন, ‘৬৪তম সুব্রত কাপের সমাপ্তি একটি অসাধারণ যাত্রা ছিল। এই টুর্নামেন্ট আবারও প্রমাণ করেছে যে এটি তরুণ ফুটবল প্রতিভা গড়ে তোলার জন্য একটি অসাধারণ মঞ্চ। আমরা এ বছর অনেক প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়ের উত্থান দেখেছি এবং আমি নিশ্চিত, তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করবে। আমি শুধু জুনিয়র বয়েজ বিভাগের বিজয়ীদের নয়, জুনিয়র গার্লস এবং সাব-জুনিয়র বয়েজ বিভাগের চ্যাম্পিয়নদেরও অভিনন্দন জানাই। প্রতিটি খেলোয়াড় অসাধারণ নিষ্ঠা দেখিয়েছে এবং আমরা আগামী বছরের সুব্রত কাপ আরও বড় ও ভালো করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে আমরা ভারতের গ্রাসরুট ফুটবলের মান আরও উন্নত করব।’
বিজয়ীদের ৫,০০,০০০ টাকা এবং রানার্সআপ দল ৩,০০,০০০ টাকা পুরস্কার বাবদ প্রদান করা হয়। সেমিফাইনালের পরাজিত দলগুলির প্রত্যেককে প্রদান করা হয় ৭৫,০০০ টাকা।এবং কোয়ার্টার ফাইনালের পরাজিত দলগুলির প্রত্যেকে ৪০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়।
ব্যক্তিগত পুরস্কার প্রাপকদের তালিকাঃ
সেরা খেলোয়াড় ( ৪০,০০০ টাকা ) : আদিকৃষ্ণ, ফারুক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, কেরালা
সেরা গোলকিপার (২৫,০০০টাকা) : শ্যাম চৌধুরী, আমেনিটি পাবলিক স্কুল, সিবিএসই
সেরা কোচ (২৫,০০০টাকা) : সুনির ভি.পি., ফারুক হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল, কেরালা
ফেয়ার প্লে পুরস্কার (৫০,০০০টাকা) : গভর্নমেন্ট মডেল সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল, আন্দামান ও নিকোবর
সেরা স্কুল (৪০,০০০টাকা) : আমেনিটি পাবলিক স্কুল, সিবিএসই
দিল্লির চারটি ভেন্যু – তেজস ফুটবল গ্রাউন্ড, আম্বেদকর স্টেডিয়াম, পিন্টো পার্ক ফুটবল গ্রাউন্ড এবং সুব্রত পার্ক ফুটবল গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সুব্রত কাপের এই বিভাগে মোট ৭৫টি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আসামের বেতকুচি হাই স্কুল জুনিয়র গার্লস (অনূর্ধ্ব ১৭) বিভাগে পশ্চিমবঙ্গের নন্দঝার আদিবাসী পাশিলি হাই স্কুলকে হারিয়ে জয়লাভ করে। অন্যদিকে, সিআইএসসিইর মিনার্ভা পাবলিক স্কুল বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে বিহারের মুজাফফরপুরের বিদ্যাচল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে হারিয়ে সাব–জুনিয়র বয়েজ (অনূর্ধ্ব ১৫) বিভাগে জয়লাভ করে।