ডায়াবেটিস আর রক্তাল্পতা থেকে বাঁচার রাস্তা রয়েছে ডুমুরে

সকালে খালি পেটে অনেকেই ছোলা, বাদাম, কিশমিশ ভিজিয়ে খান। এগুলির স্বাস্থ্যগুণ থাকলেও দাম বেশ বেশি। এদিকে হাতের নাগালেই রয়েছে ডুমুর। খুব কম খরচে এই ডুমুরে মেলে একাধিক পুষ্টিগুণ।

চিকিৎসকেরা বলছেন আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও প্রোটিনের পাওয়ার হাউস ডুমুর। রাতে এক গ্লাস জলে কয়েকটি ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেগুলি চিবিয়ে খান। প্রোটিন ও বিভিন্ন খনিজ-সমৃদ্ধ অন্তত ২-৩টি ডুমুর চিবিয়ে খেলেই শরীরে শক্তি জোগান দেবে। সারাদিনের জন্য শরীর থাকবে সতেজ ও সক্রিয়।

এর পাশাপাশি ডুমুরে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। তাই সকালে খালি পেটে ডুমুর চিবিয়ে খেলে শরীর থাকবে ফিট। পর্যাপ্ত ফাইবার থাকায় হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থাকলে সহজেই দূর হবে। পেটের সমস্যায় ডুমুরের ঝোল খুব উপকারী।

এছাড়াও ডুমুরে প্রচুর মাত্রায় আয়রন রয়েছে। তাই রক্তাল্পতায় ভুগলে মা-ঠাকুমারা ডুমুরের ঝোল খাওয়ার পরামর্শ দেন। রক্তাল্পতার সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া এই টোটকা খুবই কার্যকরী। পিম্পলস, ব়্যাশের মতো ত্বকের নানা সমস্যাও দূর করে ডুমুর।

শুধু তাই নয়, ক্যালসিয়াম ও বিভিন্ন খনিজের পাওয়ার হাউস ডুমুর। তাই রোজ সকালে ডুমুর চিবিয়ে খেলে হাড় মজবুত হবে এবং পেশিতে ক্র্যাম্পের মতো সমস্যা দূর হবে নিমেষে। অনেকে আলু ও বিভিন্ন সবজির সঙ্গে ডুমুর রান্না করে খান। সেটাও খুব উপকারী।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও ডুমুরে বড় ভূমিকা রয়েছে। ডুমুরে প্রচুর মাত্রায় পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষত, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের রোগীরা ডুমুর ভিজিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন। সালাড, স্মুদি, কর্নফ্লেক্স, ওটসের সঙ্গেও ভেজানো বা সেদ্ধ ডুমুর মিশিয়ে খেতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two − one =