বর্ষণসিক্ত দক্ষিণবঙ্গে অবশেষে স্বস্তির ইঙ্গিত। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, তা বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলের দিকে সরে যায়। এর ফলে রাজ্যের দক্ষিণের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমবে।তবে বর্ষা পুরোপুরি থামবে না। চলবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বজ্রপাত।কারণ, আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত ঘূর্ণাবর্ত প্রায় ৫.৮ কিমি উচ্চতায় বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি অক্ষরেখা এখন সুরতগড়, ভিওয়ানি, আলিগড়, বান্দা, ডাল্টনগঞ্জ, দিঘা হয়ে উত্তর–পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত। এর প্রভাবে রাজ্যে বিক্ষিপ্ত এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি চলতেই থাকবে।
পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনাসহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৫ জুলাই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। তবে সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্য মৎস্যজীবীদের সাগরে যাওয়ার বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
অন্যদিকে ১৪ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়বে। ১৫ জুলাই হসুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ১৬ জুলাইতেও জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা। ১৭ জুলাই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বুধবার বিকেলে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৯৭ থেকে ৯৮ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। বৃষ্টি হয়েছে ১২ মিলিমিটার।