বড়বাজারের মেছুয়াবাজারের আগুনের স্মৃতি একটুও ফিকে হয়নি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১৪ জনের। আর এই ঘটনাকে যেন আরও একবার মনে করিয়ে দিল রবিবার রাতের কলকাতা। শরৎ বোস রোডের এক হোটেলে লাগে ভয়াবহ আগুন।
সূত্রে খবর, রবিবার রাত ১টা নাগাদ ৪৪ এ শরৎ বোস রোডে পাঁচতলা এক হোটেলে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন বড় আকার নিতে থাকে। আগুন কনফারেন্স রুমে লাগলেও সেই সময় হোটেলে আবাসিক হিসেবে ছিলেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। এঁদের মধ্যে কেউ ডাক্তার দেখানোর জন্য বাইরে থেকে এসেছেন, কেউ আবার অফিসের কাজে কলকাতায় এসে এই হোটেলে উঠেছিলেন।এদিকে আগুনের শিখা নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় দমকলে। পাশাপাশি হোটেল রুম থেকে সবাইকে নিরাপদে বাইরে বের করাও হতে থাকে। এদিকে এই আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। কিন্তু যত সময় পার হয় ততই আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আরও ৩টি ইঞ্জিন আসে। মোট ৫টি ইঞ্জিন মিলে ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মাঝে বিপদ এড়াতে ডিএমজি তরফে কনফারেন্স রুমে সব জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক দমকল কর্মী। ওই দমকল কর্মীর নাম জালাল মণ্ডল। তাঁকে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপতালে।
দমকল সূত্রে খবর, অগ্নিকাণ্ডের সময় হোটেলে ৫০জনের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকলেও, হতাহত কোনও খবর নেই। দমকল আধিকারিকদের প্রাথমিক অনুমান, কনফারেন্স রুমের এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই আগুন লেগেছে।