ফের কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। শুক্রবার সাত সকালে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় বউ বাজারে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের এক আবাসনের বাসিন্দাদের। তখনই নজরে আসে তাঁরা দেখতে পান চারপাশ ঢেকে গিয়েছে ধোঁয়ায়। বেসমেন্টে থাকা রাসায়নিকের গোডাউনে আগুন লাগার জেরেই এমন ঘটনা বলেই জানিয়েছেন ওই আবাসেনর বাসিন্দা থেকে স্থানীরাও। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৩ টি ইঞ্জিন। দমকলবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে থাকেন তাঁরা। প্রথমেই আগুন অ্যারেস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ওই বহুতলের বাসিন্দাদের একে একে বাইরে বের করে আনা হতে থাকে। তবে ওই আবাসন একটি সরু গলির মধ্যে হওয়ায় তাঁদের বের করে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিকে কীভাবে ওই আগুন লাগল, তা স্পষ্ট নয় দমকলকর্মীদের কাছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে বিবিগাঙ্গুলি স্ট্রিটের ওই বহুতলে। গ্রাউন্ড ফ্লোর নিয়ে আট তলা ওই বিল্ডিং। নিচের তলায় রয়েছে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কার্যালয়। বহুতলটির একদিক বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হয় এবং ওপরের দিকে থাকেন বাসিন্দারা।এদিকে এই বহুতলের নিচে রাসায়নিক পদার্থ তথা আঠার বাক্স মজুত থাকায় প্রচুর ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। বিশেষ জ্যাকেট এবং মাস্ক পরে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ভিতরে ঢুকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান দমকলকর্মীরা।
এদিনের এই ঘটনায় দমকল বিভাগের হেডকোয়ার্টারের স্টেশন অফিসার এ কে পণ্ডিত জানান, বহুতলের বাসিন্দাদের সকলকে আগেই নিরাপদে নামিয়ে নিয়ে আসা হয়। সিঁড়িতে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় একই পরিবারের তিন সদস্যকে নামানো যায় নি। তাঁদের বহুতলের ছাদে নিয়ে যাওয়া হয়। সকলেই সুস্থ আছেন। তবে বিষাক্ত ধোঁয়ায় এক দমকল কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিকে এদিনের এই অগ্নিকণ্ডের ঘটনায় আবাসনের এক বাসিন্দা জানান, তিনি যখন সকালে মেয়েকে স্কুলে দিতে যাচ্ছিলেন, তখনই বিষয়টি নজরে পড়ে তাঁর। তিনি জানিয়েছেন, রাসায়নিকের গোডাউন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অনেক বাসিন্দাই, তবে কোনও লাভ হয়নি।