ফের শহরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। সোমবার সাতসকালেই আনোয়ার শাহ রোডের বস্তিতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। এই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ১ যুবক। তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে সূত্রে খবর, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের উপরে অবস্থিত বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেতেই ছুটে আসে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন। বর্তমানে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়। তবে তখনও কয়েকটি পকেট ফায়ার ছিল। আর তার থেকে যাতে আগুন আর না ছড়ায় তার জন্য ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন দমকলকর্মীরা। অতঃপর আর কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন সম্পূর্ণ নিভিয়ে ফেলা হয়।
এদিকে দমকল এবং স্থানীয সূত্রে খবর, একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের থেকেই এই আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। সঙ্গে এও জানা গেছে, বাড়ির ভিতরে স্কুটির ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হচ্ছিল। সেই ব্যাটারি ফেটেই আগুন লাগে। বিস্ফোরণ থেকেই বস্তিতে আশেপাশের বাড়িগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে ৬ থেকে ৭টি বাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। সঙ্গে এও জানা গেছে, বস্তির যে ঘরটিতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়, সেই ঘরেই ছিলেন রানা নস্কর নামে এক যুবক। বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে দ্রুত এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ভোরবেলায় রানার মা বের হন। বাইরে থেকে তালা লাগানো থাকায় আগুন লাগলেও ঘর থেকে বের হতে পারেননি ওই যুবক।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তোলেন। তারা জানান, দমকলকে বারবার ফোন করা হচ্ছিল। কমপক্ষে ১০ বার ফোন করার পর, এক ঘণ্টা বাদে দমকল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। দমকল আগে এসে পৌঁছলে, আগুন এতটা ছড়িয়ে পড়ত না বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জানিয়েছেন, প্রথমে তারা গল্ফগ্রিন থানায় গিয়েছিলেন।সেখান থেকে পুলিশ আসেনি, দমকলকেও খবর দেয়নি। এরপরে লেক থানার পুলিশ আসে। তবে দমকল সূত্রে খবর, এদিনের এই অগ্নিকাণ্ডে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।