ডায়মন্ড হারবার লোকালে আগুন। তীব্র আতঙ্ক যাত্রীদের মধ্যে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন ঠিক দুপুর ১২টা ১২ মিনিট নাগাদ ট্রেনটিতে আগুন লাগে। সুভাষগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। সূত্রের খবর, প্ল্য়াটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরাই প্রথমে ট্রেন নিচে আগুনের হলকা দেখতে পান। ধোঁয়াও বের হতে দেখে তাঁরাই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে নজরে পড়ে ট্রেনে থাকা যাত্রীদের। তাঁদের মধ্যে কেউ সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনের চেন টেনে দেন। চেন টানার জেরে সুভাষগ্রাম স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। এর মধ্যে অনেক যাত্রীই মুহূর্তের মধ্যে ট্রেন থেকে নেমে আসেন। ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন অনেকে। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় রেল পুলিশও। উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয় সুভাষগ্রাম স্টেশনে। তবে অল্প সময়ের মধ্য়ে নিভে যায় আগুন। এরফলে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর লাইনে ট্রেন চলাচল দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে বারুইপুর, লক্ষীকান্তপুর, নামখানা, কাকদ্বীপগামী ট্রেন চলেনি।
তবে কীভাবে ট্রেনের নিচে আগুন লাগল, নেপথ্যে কী কারণ তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কোনও যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি অন্য কোনও ঘটনা তা খতিয়ে দেখছেন রেলের আধিকারিকেরা। রেলের ইঞ্জিনিয়রাও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখেন।
রবিবার এই ঘটনায় প্রায় সাড়ে ১২টা থেকে বেলা থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। শুধুমাত্র বজবজ ও ক্যানিং লোকাল চলছিল। দুর্ভোগের ছবি স্টেশন চত্বরে। ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অসংখ্য যাত্রী। এর পরই স্বস্তির খবর আসে দুপুর গড়িয়ে। ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর চালু হয় ট্রেন। ৩টে বেজে ৩৩ মিনিটে লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল স্টেশন ছাড়ে।
এদিকে আবার রবিবারও শিয়ালদহ সেকশনে একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল রয়েছে। নৈহাটি স্টেশনের কাছে কাজের জন্য বাতিল করা হয়েছে ট্রেন। ঘুরপথে চলছে বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনও। দু’দিন আগে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে দেখা গিয়েছিল পূর্ব রেলকে।