পুরসভা নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের আঁচ থেকে বাঁচলেন না পুরমন্ত্রী এবং কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সোমবার নবান্নের এই বৈঠকে মমতা পুরমন্ত্রী ফিরহাদের দিকে স্পষ্ট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চান, ‘হাতিবাগান, গড়িয়াহাটের অবস্থা কী, কখনও তাকিয়ে দেখেছেন? সেখানে ফুটপাথ দিয়ে হাঁটা যায় না। গড়িয়াহাটে কিয়স্ক হয়েছে, ভালো হয়েছে। কিন্তু তার পিছনে ত্রিপল লাগিয়ে অনেকে বসে পড়ছে।’ সঙ্গে এও বলেন, ‘হাতিবাগানের অবস্থাও একই।’
এরই পাশাপাশি উঠে আসে সল্টলেকের কথাও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন সল্টলেকে ওয়েবেলের সামনে দিয়ে আসছিলাম। দেখলাম, ত্রিপলের পর ত্রিপল। সমান নতুন নতুন লোক বসছে। বাইরের সব লোকজন বসে পড়ছে। সুজিত তো টাকা নিয়ে কম্পিটিসল্টেশন করে লোক বসাচ্ছে। বাংলার আইডেন্টেটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলার সংস্কৃতি বেচে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এরপর তো বাংলায় আর বাংলায় কথা বলার লোক থাকবে না।’ এখানেই শেষ নয়, মমতা এও বলেন, ‘পুলিশও চোখে ঠুলি পড়ে বসে থাকে। দেখেও কিছু দেখে না। সবাই খালি টাকা খেতে ব্যস্ত।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুলিশকে এ পরামর্শও দেন, ‘হকাররা আমাদের ভাইবোন। তাদের দেখা আমাদের কর্তব্য। কিন্তু নতুন করে আর হকার বসানো চলবে না। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কিছু করুন। দরকার হলে আমার বাড়ি থেকে গ্রেফতার শুরু করুন। সব সরকারি জমি দখল হয়ে যাবে। আর আপনারা বসে বসে দেখবেন? এসব আমি আর হতে দেব না। যত বড় নেতা, মন্ত্রী, এমএলএ, এমপি হোক, কাউকে ছাড়া হবে না। এবার কাজ দেখে, কাজ মনিটর করে টিকিট দেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। আমাকে ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ হবে না।’