লোকসভা নির্বাচন শেষ হলেও কাটাছেঁড়ার পালা চলছে শাসকদলের তরফ থেকে। এদিকে আবার ভোট মিটতেই একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। শহরাঞ্চলে তৃণমূলের খারাপ ফল নিয়েও তাঁকে বেশ কিছু মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। এমনকি শহর মানুষ মুখ ফেরানোতে নতুন করে বরাদ্দ বন্ধের কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। শহরাঞ্চলে দলের খারাপ ফলের জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন দলেরই একাংশের কর্মীকে। কয়েকদিন আগেই দিনহাটার এক সভা থেকে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, দিনহাটার কিছু তৃণমূল কাউন্সিলর জোর জবরদস্তি ছাড়া নির্বাচন করেছেন। তাই ২ হাজার ভোট তৃণমূল হেরেছে দিনহাটা পুরসভায়। তাঁর এ মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয় জেলার রাজনৈতিক মহলে। এবার উদয়নের সেই মন্তব্যের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল পুর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে।
উদয়ন বক্তব্যে খানিক দ্বিমত পোষণ করে ফিরহাদ জানান,’ আমাদের হাতজোড় করে যেতে হবে। ক্ষমা চাইতে হবে প্রয়োজন হলে। মানুষের কাছে যদি মন জয় করতে হয় তাহলে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোনরকম দাপট দেখাতে গেলে মানুষ ভোট দেয় না।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে বড় জয় এলেও শহারঞ্চলের মানুষ কিন্তু চৃণমূলের পাশে নেই তা বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল নেতারা। সবথেকে বেশি ভাবাচ্ছে শহরাঞ্চলের ভোট। সৌগত রায়ের মতো তৃণমূল নেতারাও বলছেন, ঝুপড়ির মহিলারাই তাঁদের রক্ষাকর্ত্রী। তাঁদের কারণেই ভোটে এই বিপুল ভোটে জয় পেয়েছে তৃণমূল। বারবার শোনা যাচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথাও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে গ্রামাঞ্চলের মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাত ধরে উপকৃত হওয়াতে ঢেলে ভোট দিয়েছেন তৃণমূলে। এর পাশাপাশি সিন্ডিকেট, জমির দখলদারি, লাগাতার তোলাবাজির অভিযোগের কারণে শহরাঞ্চলের বড় অংশের মানুষ মুখ ফিরিয়েছে শহরাঞ্চলের অনেক মানুষ। এই প্রেক্ষাপটে ফিরহাদের এ মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।