ত্রিপুরায় গত কয়েদিন ধরে বিপুল বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় এই বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৩৭৫ মিলিমিটার। এর পাশাপাশি গোমতী জেলায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ প্রায় ৩৫০ মিলিমিটার। বৃহস্পতিবার আগরতলা ও এডিনগরেও প্রায় ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিতে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিস্তীর্ণ অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ শুক্রবার, আকাশ পথে গোমতী ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। সেই কারণে শুক্রবার, এমবিবি বিমানবন্দরে এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে চেপে দক্ষিণ ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা৷
আকাশপথে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বন্যায় বিপন্ন মানুষদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন৷ একইসঙ্গে মানিক সাহা এও জানান, ‘আজ আমি গোমতী জেলার উদয়পুরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করছি। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এখানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা, অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷’ এদিকে সূত্রের খবর অনুসারে, বন্যা কবলিত এলাকায় অনেক অস্থায়ী ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে৷ অনেকেই সেই ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন৷
শুক্রবার মানিক সাহা উদয়পুরের ‘খিলপাড়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ ও ‘খিলপাড়া মার্কেট শেড’-এর ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সাহস দেওয়ার পাশাপাশি শিবিরগুলির সার্বিক ব্যবস্থাপনাও খতিয়ে দেখেছেন তিনি। প্রশাসনের আধিকারিকদেরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।