মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম হল চোখ। দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হলে জগৎ অন্ধকার। তাই চোখের যত্ন নেওয়া খুবই আবশ্যক। বিশেষ করে বাচ্চাদের। ডিজিটাল যুগে ছোট বয়স থেকে বাচ্চাদের চোখকে সামলাতে হয় স্ক্রিনের ঝলকানি। তাই চোখের উপযুক্ত যত্ন না নিলে বয়স বাড়লেই সমস্যা এসে ভিড় করবে। আর চোখের যত্ন নিতে শরণাপন্ন হতে পারেন আয়ুর্বেদের।
আয়ুর্বেদে রয়েছে ‘তর্পণ’ নামে এক থেরাপির কথা। চোখের যত্ন নিতে এর তুলনা নেই। চোখকে লুব্রিকেট করতে এবং দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে তা সাহায্য করে। চোখের কুটকুটানিও কমাতে তা সাহায্য করে। ঘি এবং তেল দিয়ে ধীরে ধীরে চোখের উপর বোলাতে হয়। তাতেই মেলে আরাম। সঙ্গে হাল্কা গরম জল দিয়ে চোখে জলের ঝাপটা দিতে হবে। নিয়মিত এই কাজ চোখের পক্ষে খুবই ভালো। তা চোখের মধ্যে ঢুকে থাকা বিভিন্ন ধুলোবালি এবং দূষিত পদার্থ দূর করে চোখ ভালো রাখে। তবে অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা জল কখনই চোখে দিতে নেই।
একইসঙ্গে নজর রাখতে হবে যাতে সূর্যালোক সরাসরি চোখে না পড়ে। বাচ্চাদের চোখে কোনওভাবেই যাতে অতি বেগুনি রশ্মি না পড়ে সে দিকেও নজর রাখা জরুরি। রোদ থেকেও চোখকে সুরক্ষিত রাখা প্রয়োজন। বর্তমান যুগে টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইলের স্ক্রিন বাচ্চাদের সামনে থাকে। এগুলিকে এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। কিন্তু বাচ্চাদের চোখ থেকে স্ক্রিনের একটি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। তাতে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে শিশুর চোখ।
এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদে উল্লেখ আছে, মৌরি খাওয়া চোখের পক্ষে কার্যকরী। মুখশুদ্ধি হিসাবেও মৌরির কদর রয়েছে। তাই খাবার খাওয়ার পর রোজ মৌরি খেলে তাতে চোখেরই লাভ। সেই সঙ্গে ত্রিফলা এবং আমলকিও চোখের পক্ষে খুবই উপকারী। ত্রিফলা পাউডার এবং আমলা পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। সেই সঙ্গে চোখ ভালো রাখতে সুস্থ জীবনযাপনও একান্ত আবশ্যক। সেই সঙ্গে ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও প্রয়োজন।