৮২ পেলেই টেটে পাশ সংরক্ষিত প্রার্থীরা, জানাল তৃতীয় বেঞ্চ

টেট পরীক্ষায় কত পেলে পাশ হিসেবে গণ্য হবে, তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। আর তা নিয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলায় সংরক্ষিত প্রার্থীদের দাবি ছিল, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর পেলেই পাশ বলে গণ্য করতে হবে ও মূল পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিতে হবে। সেই আর্জিকে মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন কয়েকজন টেট প্রার্থী। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মতের অমিল হওয়ায় মামলা যায় তৃতীয় বেঞ্চে। এবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ।

এখানে বলে রাখা শ্রেয়, টেট পরীক্ষা হয় ১৫০ নম্বরে। তা মধ্যে ৮২ পেলে শতাংশের বিচারে তা হয় ৫৪.৬৭ শতাংশ। ৫৫ শতাংশ পেলে তবেই উত্তীর্ণ বলে চিহ্নিত করা হয় সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের। এ ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী, ৫৪.৬৭ শতাংশকে ৫৫ বলেই ধরা হবে। সে কারণেই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের দাবি ছিল, ৮২ পেলেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। ২০১৪ এবং ২০১৭-র টেট প্রার্থীদের একটা অংশ এই আবেদন করেছিল। গত বছরের ৩ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সংরক্ষিত বিভাগের যে প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন তাঁদের টেট উত্তীর্ণ হিসেবেই গণ্য করতে হবে। এরপর এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলা যায় বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। রায়দানের সময় মত পার্থক্য হয় ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতির। ভিন্নমত পোষণ করেন দুই বিচারপতি। এরপর মামলা যায় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। বুধবার তিনি যে রায় দিলেন তাতে ৮২ পাওয়া চাকরি প্রার্থীদের আর কোনও সমস্যা থাকছে না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − 2 =