বিভিন্ন দেশ নিজেদের রাজকোষে জমিয়ে রাখে সোনা। আর এই সোনার ওপরেই নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা। কারণ, বিশেষ করে অর্থনীতিতে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়, তখন পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে জমিয়ে রাখা সোনা। এই সোনা দেশের মুদ্রার দর নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা পালন করে। কারণ সোনার মূল্যে স্থায়িত্ব অন্য সম্পদের তুলনায় অনেকটাই বেশি বলে মনে করা হয়। অনেক দেশ গোল্ড রিজার্ভ নিয়ে চিন্তাভাবনা না করলেও বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কাছে এই সোনা জমিয়ে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে তারা সজাগও। এদিকে কোন দেশের হাতে কী পরিমাণ সোনা জমা করে রাখা আছে, তার একটি তালিকা সম্প্রতি প্রকাশ করেছে ফোর্বস। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এই তালিকার প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে ভারতও।
ফোর্বসের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বেশি গোল্ড রিজার্ভ রয়েছে আমেরিকার। মার্কিনি গোল্ড রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৮১ হাজার ৩৩৬ টন। আমেরিকার পরই তালিকায় রয়েছে জার্মানি। সে দেশের ভান্ডারে প্রায় ৩ হাজার ৩৫২ টন সোনা জমানো রয়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইটালি। ইউরোপের এই দেশে জমাকৃত সোনার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৪৫১ টন। চতুর্থ স্থানে থাকা ফ্রান্সের গোল্ড রিজার্ভ প্রায় ২ হাজার ৪৩৬ টন। এই তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। মস্কোর ভান্ডারে প্রায় ২ হাজার ৩৩২ টন সোনা রয়েছে বলে উঠে এসেছে ফোর্বসের রিপোর্টে।
গোল্ড রিজার্ভের নিরিখে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে চিন। ২ হাজার ১৯১ টন সোনা রয়েছে বেজিংয়ের কাছে। এর পর রয়েছে সুইজারল্যান্ড। তাদের কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০ টন। এর পর রয়েছে জাপান। জাপানের গোল্ড রিজার্ভ প্রায় ৮৪৫ টনের। ফোবর্সের তথ্য অনুযায়ী, ভারত রয়েছে এই তালিকার নবম স্থানে। ভারতের ভান্ডারে জমিয়ে রাখা সোনার পরিমাণ প্রায় ৮০০ টন। তালিকার দশ নম্বরে থাকা নেদারল্যান্ডসের কাছে সোনা রয়েছে প্রায় ৬১২ টন। এই তালিকা থেকে স্পষ্ট যে, গোল্ড রিজার্ভের তালিকায় ইউরোপের দেশে প্রাধান্য সবথেকে বেশি। শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন। এ ছাড়াও এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে জাপান ও ভারত রয়েছে এই তালিকায়।