কসবা আইন কলেজ কাণ্ডে ধর্ষিতা ছাত্রীর অভিযোগের পর তদন্ত চলছে দ্রুত গতিতে। বাজেয়াপ্ত চারটি মোবাইলের ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পেল লালবাজার৷ মনোজিৎ মিশ্র, তাঁর দুই সহযোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে৷ এই তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তার সহযোগীরা এই মুহূর্তে জেলে৷ সঙ্গে এও জানা গেছে, বুধবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে চার অভিযুক্তের গেট প্যাটার্ন টেস্ট করবে তদন্তকারীরা।সিসিটিভি ফুটেজে চার অভিযুক্তের হাঁটাচলার যে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে এক্সজামিন করা হয়েছে।সংশোধনাগারে গিয়ে ফুটেজের সঙ্গে অভিযুক্তদের মুভমেন্ট পরীক্ষা করা হবে৷পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, কলেজের দুটো জায়গা থেকে রক্তের নমুনা মিলেছে। এই রক্তের নমুনা মিলেছে ইউনিয়ন রুমের মেঝেতে আর গার্ড রুমে থাকা হলুদ রঙের বেড শিটে।
অন্যদিকে চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের শেষে কসবা গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীদের মঙ্গলবার তোলা হয় আদালতে।পুলিশের তরফ মঙ্গলবার ফের চোদ্দ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চাওয়া হয়। ৫ অগস্ট অবধি জেল হেফাজতে অভিযুক্ত ও তাঁর সঙ্গীরা।অভিযুক্তের আইনজীবী রাজা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘জামিন চাইছি না। তবে আমার মক্কেলকে বলা হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে যেন তিনি বলেন যে অপরাধ করেছেন। জেলে থাকার মতো পর্যাপ্ত আলো,বাতাস, খাবার পাচ্ছি না। মশারি দরকার। পেনসিল,কাগজ দরকার।’ এদিকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীর আইনজীবী বলেন, ‘আমার মক্কেল ২৩৩ টাকা দৈনিক পাওয়া এক কর্মী।’ এরই প্রেক্ষিতে বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ফুটেজে দেখা যাচ্ছে বাইরে পাহারা দিচ্ছে রক্ষী। ভিতরে নির্যাতন চলছে। একজন ভিডিয়ো করছে, ব্ল্যাক মেইল করা হচ্ছে। নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা দেওয়ার। উনি গার্ড দিলেন ভিতরে অপরাধ সংগঠিত যাতে হয়। আমরা নির্যাতিতার সিডিআর তুলেছি। টাওয়ার লোকেশন পেয়েছি। সকলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।তদন্তকারী সংস্থা কোনও ভাবেই প্রভাবিত হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্ত এখন খাতা,বই চাইছেন তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এটা দেখিয়ে পরে বলা হবে নাতো উনি খুব মেধাবী ছাত্র। জেলে থাকায় পড়াশোনা আটকে যাচ্ছে। ওঁর পুরনো রেকর্ড অন্য কথা বলছে। বারোটি মামলা রয়েছে অভিযুক্তের নামে। তার মধ্যে একটি শ্লীলতাহানির মামলা। ঠিক সময়ে সাজা হলে এমন ঘটনা হত না।’ আর এখানেই বিচারকের প্রশ্ন, “২০২৩ থেকে হলে রাজ্য কী করছিল?বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের উত্তর, ‘রাজ্য যা করার করেছে।’