জামালের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে বনদফতর। কারণ, বুধবার বনদফতরের আধিকারিকেরা জানতে পারেন জামাল সর্দারের বাড়িতে যে সুইমিং পুল রয়েছে সেখানে পোষা হয় কচ্ছপও। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত নড়েচড়ে বসে বনদফতর।
এদিকে বাড়িতে কচ্ছপ পোষা বেআইনি। কার অনুমতি নিয়ে তিনি সুইমিংপুলে কচ্ছপ পুষছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এরপর বাড়িতে কচ্ছপ উদ্ধার করতে বুধবার রাতেই বনদফতরের ডিএফও মিলন মণ্ডলের নির্দেশে বারুইপুর রেঞ্জ অফিস থেকে একটি ৬ সদস্যের দল প্রথমে সোনারপুর থানায় যায়। তারপর জামাল সর্দারের বাড়ি। তাঁদের হাতে ছিল জাল ও কচ্ছপ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার জন্য অন্যান্য সামগ্রী।
যদিও রাত দশটা থেকে প্রায় সাড়ে এগারোটা অবধি অপেক্ষা করার পর ফিরে যান তাঁরা। কারণ জামাল সর্দারের ‘রাজপ্রাসাদের’ গেটে তালা দেওয়া ছিল। অবশেষে আড়াই ঘণ্টা অপেক্ষার পর গেটের চাবি না পাওয়ার কারণে কচ্ছপ উদ্ধার না করেই ফিরে যেতে হয় বনদফতরের দলটিকে। এরপরই, বনদফতরের আধিকারিক জামাল সর্দারের বিরুদ্ধে ‘ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন’ ধারায় মামলা রুজু করা হবে বলে জানান বন দফতরের আধিকারিক। বনদফতর সূত্রে খবর, জামালের বাড়িতে যে কচ্ছপ দেখা গিয়েছে তার বিজ্ঞান সম্মত নাম ‘ইন্ডিয়ান সফ্ট শিল্ড টারটেল’। আর বেআইনিভাবে এই কচ্ছপ বাড়ির সুইমিংপুলে রাখার জন্য সর্বোচ্চ তিন থেকে সাত বছরের জেল ও ২৫ লক্ষ টাকার জরিমানা হতে পারে বলে জানান ডিএফও মিলন মণ্ডল।