এখনও ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন’-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আলিপুরে বেসরকারি হাসপাতালে তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে শনিবার দুপুরে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। শনিবার দুপুরে বুদ্ধদেবের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে নেমে যায় ৬৮ শতাংশে। তবে রবিবার সকালে অক্সিজেনের মাত্রা এখন মোটামুটি স্থিতিশীল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখনও সংকটজনক বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এদিকে হাসপাতাল সূত্রে খবর, আরও ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
পাশাপাশি চিকিৎসকেরা এও জানাচ্ছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সিআরপি ৩১৮। দীর্ঘদিন অ্যান্টি বায়োটিক ব্যবহারের পর এখন শরীরে যে অ্যান্টি বায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটেছে তার ফলে নতুন করে অ্যান্টি বায়োটিকের কাজ করা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবুও সব শারীরিক ফ্যাক্টরগুলি মাথায় রেখে কড়া মেডিসিন ডোজ-ই দিতে হচ্ছে বাম নেতাকে। মূত্রে ক্রিয়েটিনের মাত্রা বেশি থাকায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কিডনির অবস্থা নিয়েও চিন্তিত চিকিৎসকেরা।
সূত্রের দাবি, সকালে সমস্ত টেস্ট রিপোর্ট খতিয়ে দেখে খুব স্বস্তিতে নেই চিকিৎসকেরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বুকের এক্স-রে-তে ধরা পড়েছে তাঁর বাঁদিকের ফুসফুসে সিংহভাগে রয়েছে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ। ডানদিকের ফুসফুসেও সংক্রমণ রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাইল্যাটারাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তিনি। বুকের এক্স-রে রিপোর্ট সন্তোষজনক নয়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সিটি স্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুসের তাঁর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এছাড়া সিওপিডি-এর দীর্ঘ সমস্যা রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। এদিকে ভেন্টিলেশনে ফুসফুসের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে।
তবে বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে ১০০ শতাংশ ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। এখনই ভেন্টিলেশন কমানোর বা তার থেকে বের করার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানা গিয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।