প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী শিবু সোরেন

প্রয়াত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী শিবু সোরেন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) প্রধান শিবু সোরেনের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ‍্যের মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় থেকে শুরু করে দেশের অন‍্যান‍্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতানেতৃবৃন্দ। সোমবার সকালেই তাঁর মৃত‍্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃত‍্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

প্রাক্তন মুখ‍্যমন্ত্রী শিবু সোরেনকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শিবু সোরেনজি ছিলেন মাটির কাছের রাজনৈতিক নেতা। জনগণের প্রতি অবিচল নিষ্ঠার সঙ্গে জীবনের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করেছিলেন তিনি। তিনি বিশেষভাবে আদিবাসী সম্প্রদায়, দরিদ্র এবং অবহেলিতদের ক্ষমতায়নের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে ব্যথিত। তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সহমর্মীতা। মুখ‍্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কথা বলেছি। ওম শান্তি।

জেএমএম নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেন বাংলার মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ও। তিনি লিখেছেন, ‘প্রাক্তন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতা এবং আমার আদিবাসী ভাইবোনদের জন্য গুরু দিশম (মহান নেতা) শিবুসোরেনেরপ্রয়াণেআমিগভীরভাবেশোকাহত।তাঁর পুত্র এবং আমার ভাই বর্তমান মুখ‍্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের প্রতি আমার সমবেদনা।ওঁনার পুরো পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।আমি ওঁকে খুব ভাল করে চিনতাম।ঝাড়খণ্ডের একটি অধ‍্যায়ের অবসান হল আজ।

এর পাশাপাশিতৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘শ্রী শিবু সোরেনজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। এক বিরাট ব‍্যক্তিত্ব যাঁর কণ্ঠস্বর প্রজন্মের আদিবাসীদের শক্তি দিয়েছে এবং যার সংগ্রাম ঝাড়খণ্ডের আত্মাকে গড়ে তুলেছে। তাঁর যাত্রা তৃণমূল স্তর থেকে জাতীয় স্তর পর্যন্ত সাহস, ত্যাগ এবং তাঁর জনগণের প্রতি অটল বিশ্বাসের গল্প। তাঁর অনুপস্থিতি একটি শূন্যতা রেখে যাবে যা পূরণ করা যাবে না।সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিন ধরেই কিডনি সংক্রান্ত অসুখে ভুগছিলেন জে এম এম নেতা। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। দুদিন আগেই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করে আনা হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও খবর ছিল না। অবশেষে সোমবার মৃত‍্যু হয় তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − nine =