আরজি কর-কাণ্ডে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই জেরা করার দাবি জানালেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন বিচারপতি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে আমি অভিযুক্ত হিসাবে রায় দিলাম। সিবিআই অবিলম্বে জেরা করুক।’ তাঁর আরও দাবি, ‘এই সরকারকে এখনই ফেলে দিন। রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি। ৩৫৬ ধারা জারি করুন।’ অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের ৩৫৬ ধারা জারির প্রস্তাবকে পরোক্ষে সমর্থন করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মানুষ চাইলে হবে।’
ওদিকে আরজি করের আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এবার যোগ দেবেন নির্যাতিতার মা। আরজি করে গিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের পাশে বসে বিচার চাইবেন নিহত চিকিত্সক-পড়ুয়ার মা, এমনটাই সূত্রে খবর। নির্যাতিতার মা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘১৪ দিন হয়ে গেল। আর ঘরে বসে থাকতে পারছি না। আমার মেয়ের বিচার চাই।’ এর পাশাপাশি এদিন নির্যাতিতার বাবাও জানান, ‘ঘটনার দিন হাসপাতাল থেকে ৩ বার ফোন এসেছিল। প্রথমবার বলা হয়েছিল, আমার মেয়ে অচৈতন্য। এই ফোন পেয়ে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। যে নাম্বার থেকে ফোন এসেছিল সেখানে আবার ফোন করি। তাদেরকে বলি, কী হয়েছে মেয়ের? তারা বলেন, আমরা কি ডাক্তার যে বলতে পারবো? ওকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে ওই নাম্বার থেকে আবার ফোন আসে। বলা হয়, আপনার মেয়ে সুইসাইড করেছে মনে হচ্ছে। কিন্তু আমরা যখন ওখানে পৌঁছাই, তখন ওকে ইমার্জেন্সিতে দেখতে পাইনি। ওই সেমিনার রুমে ও ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে যে, যে ডাক্তাররা সারা রাত ওর সঙ্গে কাজ করছিল, তাদের সকাল পর্যন্ত একবারও মনে হল না যে ও কোথায় আছে? ওঁদের কেন এতক্ষণ দেখা যাচ্ছে না?’
একইসঙ্গে তাঁরা এ প্রশ্নও তোলেন যে, ‘থানায় কমপ্লেইন করা নিয়ে ওই দিন আমাদের সঙ্গে পুলিসের কোনও কথা হয়নি। এত বড় ঘটনা ঘটে গেল, অথচ আজ পর্যন্ত হাসপাতালের তরফে কেউ একবারও দেখা করতে এল না আমাদের সঙ্গে। কোথাও কিছু একটা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই আমাদের মনে হয়। পুরো সাজিয়ে গুছিয়ে সেদিন মেয়েকে আমাদের দেখতে দিয়েছে!’