ডোমকল থানার ভিতর হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের শরনাপন্ন খড়্গপুর আইআইটির প্রাক্তন ছাত্র গবেষক ইমন কল্যাণ। অভিযোগ, ব্যাঙ্কের পাসবুক হারিয়ে যাওয়ায় থানায় জিডি করতে গিয়ে ডোমকল থানার ভিতর পুলিশি হেনস্থার শিকার হন তিনি। শুক্রবার আইনজীবী শামিম আহমেদ এই বিষয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তারপরেই বিচারপতি মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। ওই গবেষকের অভিযোগ, খড়্গপুর আইআইটির ছাত্র ছিলেন তিনি। সেখানকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে যাওয়ায় ডোমকল থানায় জিডি করাতে গিয়েছিলেন। ডিউটি অফিসার তাঁকে ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখায় গিয়ে স্ট্যাম্প মেরে আনতে বলেন। কিন্তু দূরত্বের কারণেই তা সম্ভব নয় বলে তিনি জানান। কিন্তু ইমন কল্যাণের যুক্তি মানতে চাননি ওই অফিসার। তাঁর কথায়, ’এই নিয়েই আমাদের দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরেই থানার মেজবাবু সেখানে এসে আমাকে অন্য় একটি ঘরে ডেকে নিয়ে যান। আমি ভেবেছিলাম আমার সমস্য়া সমাধান করে দেবেন তিনি। কিন্তু ওই ঘরে নিয়ে গিয়ে চলে বেধড়ক মারধর। চলে অশ্রাব্য গালিগালাজও। ওর সঙ্গে যোগ দেন আরও কয়েকজন পুলিশ কর্মী। এরপরে আমাকে লকআপের পাশে অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে বসিয়ে রাখা হয়।’
এদিকে ডক্টর ইমন কল্যাণের এই অভিজ্ঞতার কথা জানাজানি হতেই অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, যদি একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি থানায় গিয়ে সুবিচার না পান, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে?