প্রয়াত মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ টিকে চাত্তুনি

প্রয়াত মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ টিকে চাত্তুনি। তাঁর কোচিংয়ে প্রথমবার জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় সবুজ-মেরুন। বুধবার সকাল ৭.৪৫ মিনিট নাগাদ তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দানও।

১৯৯৭ সালের ফেডারেশন কাপে মোহনবাগান অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিল। তবে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ছন্দপতন হয় সবুজ-মেরুনের। সেবারের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চাত্তুনির সালগাওকর। তখনও কি চাত্তুনি জানতেন, তাঁকেই জাতীয় লিগে নিতে হবে মোহনবাগানের দায়িত্ব! এরপরই অমল দত্তর জায়গাতেই সালগাওকর থেকে চাত্তুনিকে কোচ করে আনা হয়েছিল সবুজ-মেরুনে। তার পরের ঘটনা ইতিহাস। স্বল্পকালের দায়িত্বে মোহনবাগানকে জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন চাত্তুনি। কেরলের প্রাক্তন এই ফুটবলার এবং কোচের মৃত্যুতে শোকাহত মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ও। প্রথম জাতীয় লিগ জয়ী মোহনবাগানের সদস্য ছিলেন তিনিও।

এদিন স্মৃতিরোমন্থন করে সত্যজিৎ বলছিলেন, ‘অমলদার (দত্ত) জায়গায় সালগাওকর থেকে এসেছিলেন চাত্তুনি। অমলদা ঠিক যে জায়াগায় মোহনবাগানকে পৌঁছে দিয়েছিলেন, ঠিক সেই জায়গা থেকে চাত্তুনি দলটাকে ধরেন এবং তিনি শেষ করেন দলকে শিখরে তুলে। অমলদার ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসে কাজ করা কিন্তু খুবই কঠিন। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দলে কোচিং করাটাও খুবই কঠিন। নতুন এক জায়গা থেকে এসে চাত্তুনি যেভাবে মোহনবাগানকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, তা অবিশ্বাস্য।’ কলকাতা ফুটবলে বেশিদিন কোচিং করাতে দেখা যায়নি চাত্তুনিকে। সেই বিষয়ে সত্যজিৎ বলছিলেন, ‘কলকাতা ওকে আরও কয়েকদিন পেলে  এখানকার ফুটবল সমৃদ্ধ হত। চাত্তুনির চলে যাওয়া বড় ক্ষতি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × five =