তিলোত্তমার শেষকৃত্য নিয়ে প্রশ্নের মুখে টালা থানার প্রাক্তন ওসি

তিলোত্তমা খুন ধর্ষণ মামলায় শেষকৃত্যের ঘটনা নিয়ে আদালতে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর, রবিবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কোর্টে জানায়, পরিবার দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের দাবি করলেও তাড়াহুড়ো করে দেহ দাহ করে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তৎকালীন ওসি টালা বা পুলিশ কেন পরিবারের কথা শোনেনি, আদালতে প্রশ্ন তোলে সিবিআই। কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দাবি করছে সিবিআই।

শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে। সিবিআই গ্রেফতার করে তাঁকে। রবিবার শিয়ালদহ আদালতের সেকেন্ড জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক পামেলা গুপ্তার এজলাসে তোলা হয়। এদিন আদালতে সিবিআই যে সমস্ত বিষয় তুলে ধরে, তার মধ্যে অন্যতম শেষকৃত্যের পর্বটি। ময়নাতদন্তের পর তিলোত্তমার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করার জন্য শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সিবিআই আদালতে জানায়, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের দাবি পরিবারের ছিল। সেই দাবি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কেন দেহদাহে এতটা তৎপরতা ছিল পুলিশের সেই প্রশ্নই তোলে সিবিআই।

এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, সন্দীপ ও অভিজিতের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। কল ডিটেল রেকর্ডস বা সিডিআরে তা আছে। সিবিআই এদিন আদালতে জানায়, ঘটনার দিন সকাল ১০টায় খবর পান টালা থানার ওসি। ১১টার সময় যান। এক ঘণ্টার ব্য়বধান রয়েছে। সিডিআরে সন্দীপের কথোপকথন আছে। এর পিছনে থাকতে পারে ষড়যন্ত্রও। সন্দীপ ও অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six − 2 =