মঙ্গলবার বিধানসভাতেই শপথগ্রহণ চার নবনির্বাচিত বিধায়কের

রাজ্যপাল ছাড়াই মঙ্গলবার ৪ নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথগ্রহণ হবে বিধানসভাতেই। সোমবার এমনটাই জানালেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রথা, আইন এবং সংবিধান মেনেই মঙ্গলবার বিধানসভার শপথ নেবেন চার তৃণমূল বিধায়ক, রায়গঞ্জের কৃষ্ণ কল্যাণী, রানাঘাট দক্ষিণের মুকুটমণি অধিকারী, বাগদার মধুপর্ণা ঠাকুর এবং মানিকতলার থেকে সুপ্তি পাণ্ডে। রাজ্যপালকে শপথগ্রহণ নিয়ে দুটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যদিও তার উত্তর সোমবার পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। আগের বার সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথ গ্রহণের বিষয়ে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের যে ভূমিকা ছিল এবারেও সেই নিয়ম মেনেই শপথগ্রহণ হবে।  প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন। এদিন কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার উপনির্বাচনে জয়ী চার তৃণমূল বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, সায়ন্তিকা এবং রেয়াতের শপথগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ টালবাহানা চলে। দুই বিধায়ক রাজভবনে গিয়ে শপথ গ্রহণ করেননি। বিধায়করা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায়  রাজ্যপালও বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করাননি। স্পিকারকে চিঠি দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুই নির্বাচিত বিধায়ককে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁদের শপথগ্রহণ করাতে রাজি হননি ডেপুটি স্পিকার। একদিনের বিশেষ অধিবেশনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় নবনির্বাচিত দুই সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছিলেন।

এবারও উপর্নিবাচনে জয়ী চার তৃণমূল বিধায়ককে শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত চলছিল। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যের পরিষদীয় দফতর থেকে রাজ্যপালের কাছে এই ৪ সদস্যের শপথগ্রহণের জন্য চিঠির দেওয়া হয়েছিল। বিতর্ক এড়িয়ে এবার কি নির্ঝঞ্ঝাটে মিটবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান, এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু দেখা গেল বিধায়কদের শপথগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। রাজ্যের পরিষদীয় দফতর থেকে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো চিঠির কোনও উত্তর আসেনি। তার মধ্যেই রাজ্যপাল বিধানসভাকে চিঠি দিয়ে দুটি বিষয়ে তাদের বক্তব্য জানতে চান। রাজভবন জানতে চায়, সায়ন্তিকাদের শপথগ্রহণ স্পিকারই করিয়েছেন কি না। কারণ রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যম থেকে জানতে পেরেছেন, তিনি ডেপুটি স্পিকারকে শপথের দায়িত্ব দিলেও ওই দুই বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করান স্পিকার। এটা ঠিক কি না। দ্বিতীয়ত, বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি না করে বারবার স্থগিত রাখা হচ্ছে কেন। বিধানসভার তরফে এই চিঠির জবাব সোমবার পর্যন্ত রাজভবনে পৌঁছয়নি বলেই সূত্রের খবর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 16 =