‘শুক্রবার ভয়ঙ্কর খেলা হবে।‘ জোকা ইএসআই থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেরোনোর সময় বুধবার এমনই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল ব্যবসায়ী এবং এক বেসরকারি চ্যানেলের সম্পাদক কৌস্তুভ রায়কে। বুধবার চতুর্থ দফায় তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। কৌস্তুভ বলেন, শুক্রবারই ইডির ১০ দিনের হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ওই দিনই ভয়ঙ্কর খেলা হবে। সঙ্গে এও জানান, ‘কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়নি। এসব চলতে থাকলে কোনও মূল্য থাকে না। শরীর আমার ঠিক আছে। সারা দিন ঘুমোচ্ছি,আর ওজন বাড়ছে।‘
বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় কৌস্তুভ রায় বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদ কিছুই হয়নি। বাঙালিরা ইংরেজদের দেশ ছাড়া করেছে। যাঁরা ইংরেজদের তাবেদারি করে তাঁদেরকেও ২০২৪ সালে দেশ ছাড়া করব।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার তৃতীয় দফার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে মিথ্যে মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে। মিথ্যে মামলায় তাঁকে ইডি কী বা জিজ্ঞাসাবাদ করবে। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার পর তাঁর সুগার প্রেসার সব কমে গিয়েছে। তবে ইডির সুগার প্রেসার বাড়ছে বলে মনে করছেন কৌস্তুভ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে এর আগেও তোপ দাগতে দেখা যায় কৌস্তুভকে। বলেছিলেন, ‘তদন্তের নামে প্রহসন হচ্ছে। সারাদিন শুয়ে আছি এবং ঘুমোচ্ছি। কোনও কিছু পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে ভয় দেখিয়ে, হেনস্থা করে কোনও লাভ নেই।’ সঙ্গে এও বলেছিলেন, ইন্ডিয়া জিতবে, এনডিএ হারবে।
প্রসঙ্গত, একটি চিটফান্ড মামলায় আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে কৌস্তুভ রায়কে সোমবার মাঝরাতে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। তিনি নিজেই সওয়াল করেন। এরপরই আদালত কৌস্তুভকে দশ দিন ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। সঙ্গে নির্দেশ দেয়, একদিন অন্তর তাঁকে মেডিক্যাল চেকআপ করাতে হবে দুদিন অন্তর তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই।