জল্পনা চলছিল সেমেস্টার সিস্টেম আসতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিকে। সঙ্গে প্রশ্নও হবে এমসিকিইউ ধাঁচে। প্রস্তাব নিয়েও চলছিল জোর চর্চা। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল। এবার জানা গেলে ২০২৬ থেকে উচ্চমাধ্যমিকে চালু হতে চলেছে ওএমআর শিট। ২০২৬ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের সেমেস্টারের পরীক্ষায় ওএমআর চালুর বন্দোবস্ত একরকম পাকা হয়ে গিয়েছে বলেই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে ফেলেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সূত্রের খবর, ঠিক হয়েছে ২০২৬ সালে দুটো সেমিস্টারে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা হবে। নয়া শিক্ষানীতির আধারেই নেওয়া হবে পরীক্ষা। তার মধ্যে প্রথম সেমেস্টারের পরীক্ষা হবে মাল্টিপেল চয়েস প্রশ্নত্তোর ফর্ম্যাটে। এই পরীক্ষাই এই ওএমআর শিটে নেওয়া হবে বলে খবর। তবে এ খবর প্রকাশ্য়ে আসতেই শিক্ষামহল জুড়ে শুরু হয়েছে বিস্তর চর্চা।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বলছে সর্বভারতীয় স্তরে যে সমস্ত পরীক্ষাগুলি হয় সেগুলির সবই প্রায় ওএমআর শিটে দিতে হয়। তাই বাংলার পড়ুয়ারা যাতে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভাল ফল করতে পারে সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে, ওএমআর ফরম্যাটে পরীক্ষা দিতে গিয়ে যাতে কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তাই স্কুল স্তর থেকেই তাঁদের ওএমআর শিটের সঙ্গে অভ্যস্ত করানো হবে। এদিকে শিক্ষা মহলের একটা বড় অংশ এই নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতির খবর সামনে আসার পর থেকে লাগাতার সামনে এসেছে ওএমআর শিটে কারচুপির খবর। সে কারণেই আবার একাংশের শিক্ষাবিদ এই নয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। প্রশ্ন উঠেছে, ঠিক করে ওএমআর শিটের মূল্যায়ন হবে কিনা তা নিয়েও। একইসঙ্গে শিক্ষাবিদদের একাংশের আশঙ্কা, গোটা প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠভাবে হবে কি না তা নিয়েও। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ওএমআর শিটে উত্তর দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। তা মেনে চলতে হয়। ভুলভাবে পয়েন্ট আউট করলে বা দাগ দিলে মেলে না নম্বর। তাই এই নয়া প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছাত্ররা দ্রুত কতটা অভ্যস্ত হতে পারবে তা নিয়েও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। যদিও শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন দিনের শেষে সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন পড়ুয়ারা। যদিও শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর,পরীক্ষায় বসার আগে এ বিষয়ে পড়ুয়াদের যাবতীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ঠিক করা হবে ট্রেনিং মডিউল,আয়োজন করা হতে পারে মক টেস্টের। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া হবে ইতিমধ্যেই তার খসড়াও তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে উচ্চমাধ্য়মিক শিক্ষা সংসদ।