চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে দারুণ ফলাফল করেছে রাজ্যের শাসকদল। বিজেপিকে বঙ্গের মাটিতে দাঁড়াতেই দেয়নি শাসকদল। ৪২ টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এই জয়ের মেগা উদযাপন হতে চলেছে ২১ জুলাই, শহিদ দিবসের মঞ্চে। অন্তত এমনই জানিয়েছিলেন খোদ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার নতুন কর্মসূচির কথা জানা গেল তৃণমূল সূত্রে। শহিদ দিবসের আগের দিন ‘চায়ের আড্ডা’য় মিলিত হবে তৃণমূলপন্থী একাধিক সোশাল মিডিয়া গ্রুপ। আড্ডার পাশাপাশি চলবে মত বিনিময়। তাতে যোগ দিতে সকলকে আহ্বান জানানো হয়েছে। আড্ডার স্থান, সময় সবই সোশাল মিডিয়া পোস্টে প্রকাশ করা হয়েছে। রয়েছে আয়োজকদের নাম ও যোগাযোগের নম্বরও।
প্রতি বছরই তৃণমূলপন্থী সোশাল মিডিয়া গ্রুপগুলির সমবেত মিলনোৎসব হয়ে থাকে ‘চায়ের আড্ডা’য়। এভাবেই সকলে একজায়গায় মিলিত হয়ে মত বিনিময় করেন। উঠে আছে বেশ কিছু পরামর্শ, যা পরবর্তী সময়ে দলকে আরও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। কিছু ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সুযোগও মেলে এই অনুষ্ঠানে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তৃণমূলের সোশাল মিডিয়া সংগঠনগুলি একত্রিত হচ্ছেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে। আগামী শনিবার, ২০ জুলাই। ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগের দিন। সোশাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, হাজরার সুজাতা দেবী স্মৃতি সদনে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে এই আড্ডা।
তবে এই ‘চায়ের আড্ডা’ যে নিছকই আড্ডা নয়, তা স্পষ্ট আড্ডার আমন্ত্রণপত্রে। কারণ, এই নিমন্ত্রণ পত্রে স্পষ্ট লেখা আগামী দিনে বাংলা থেকে দিল্লি পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের সঙ্গী হতে এই উদ্যোগ। মূল উদ্যোক্তা বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন। ঘণ্টা পাঁচেকের টানটান গল্প-আলোচনায় উঠে আসবে দলের খুঁটিনাটি বিষয়। বিশেষত লোকসভা ভোটে বাংলায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাওয়ার পর দিল্লিতে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে নতুন নতুন কৌশল নিয়ে কথা বলতে পারেন বিশিষ্টরা।