এনআরএস-এ সদ্যোজাতদের ইনজেকশন ভয়েলে মিলল ছত্রাক

ফের কাঠগড়ায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। একরত্তিদের  শ্বাসকষ্টের নিরাময়ে ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনেই ধরা পড়ল ছত্রাকের উপস্থিতি। আর তা আগেভাগে নজর আসতে প্রাণে বাঁচল ওই একরত্তি। এদিকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ইঞ্জেকশনের গায়ে ২০২৫ সালের ৩০ মে পর্যন্ত ওষুধের মেয়াদ লেখা ছিল। সূত্রে খবর, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের এসএনিসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ওই একরত্তি।

হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে,  ওই সদ্যোজাত ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা শুরু হয়। তখন হাসপাতালের তরফ থেকে ইঞ্জেকশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মেয়াদের মধ্যেই ছিল সেই ওষুধ। কিন্তু ইঞ্জেকশনের ভয়েলের মধ্যে ছত্রাক দেখা যায়। কিন্তু কীভাবে স্টোর থেকেই এই ছত্রাক যুক্ত ভয়েল চলে গেল ওয়ার্ডে তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এদিকে এই এসএনসিইউ ওয়ার্ডে অনেক সদ্যোজাতকেই একসঙ্গে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। সেখানে এই নজরদারি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আর একানেই চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সরকারি হাসপাতালে যে ধরনের ব্যস্ততা থাকে, তাতে ছত্রাক চোখে নাই পড়তে পারত। সেক্ষেত্রে বড় অঘটন ঘটতেই পারত।

এই প্রসঙ্গে শিশু রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ‘সদ্যোজাতর ক্রমাগত পালমোনারি উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে সিনডেনাফিল ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। যাতে হৃদরোগে আক্রান্ত না হয়। যে কোনও ইঞ্জেকশনেই ছত্রাক থাকা উচিত নয়।’

এই ঘটনায় নীলরতম মেডিক্য়াল কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে তাঁরা আশা করছেন কয়েকদিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি পরিষ্কারভাবে সামনে আসবে। যদি এরকম কিছু ঘটে থাকে, যা সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে। একইসঙ্গে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোও হবে। অন্যদিকে, এএইচএসডি চিকিৎসক নেতা মানস গুমটা এই ঘটনাকে ভয়ঙ্কর বলে জানিয়েছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, বাচ্চাদের চিকিৎসায় এমন বড ধরনের গাফিলতি বাংলায় বলেই সম্ভব হচ্ছে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × one =