ফুরফুরা শরিফ ফ্যাক্টর নয় কল্যাণের কাছে

বসন্ত উৎসবে সকাল থেকে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সামিল হলেন বসন্ত উৎসবের আনন্দে। বসন্তের আনন্দে রঙিন হয়ে সারলেন জনসংযোগও। শ্রীরামপুরের তিনবারের সাংসদের কাছেএবারের নির্বাচনেও যে লাল বা গেরুয়া কোনও রঙই কোনও ফ্যাক্টর হবে না সে বার্তাও এদিন দিয়ে রাখলেন কল্যাণ।

উল্লেখ্য, এবারের ভোটে শ্রীরামপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে কল্যাণেরই প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর বসুকে। এদিন বসন্ত উৎসবের জনসংযোগে বেরিয়ে সরাসরি কারও নাম না নিলেও, কল্যাণ বুঝিয়ে দিলেন তাঁর কাছে বিরোধীদের কেউই কোনও ফ্যাক্টর নন। বিরোধীদের কোনও প্রভাব পড়বে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন করায় কল্যাণের স্পষ্ট জবাব। বললেন, ‘গতবার হ্যাটট্রিক করেছি। এবারও বাউন্ডারি আমিই মারছি।’ একইসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, ‘আলাদা করে কোনও প্রার্থীর বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না। বাপি লাহিড়ী হেরেছেন, গতবার দেবজিৎ সরকার হেরেছেন। এর আগে যাঁরা সিপিএমের ছিলেন, তাঁরাও হেরেছেন। ২০০৯ সাল থেকে সিপিএম হারছে এখানে।’ প্রসঙ্গত, কল্যাণের প্রাক্তন জামাই কবীরশঙ্কর এর আগেও একবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। একুশের বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন শ্রীরামপুর থেকে। যদিও পরাস্ত হয়েছিলেন। আর এবারও লোকসভা ভোটে কল্যাণের বিরুদ্ধে তাঁকেই প্রার্থী করেছে বিজেপি।

একইসঙ্গে ফুরফুরা শরিফের নওশাদ অনুগামীরাও যে বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারবেন না নির্বাচনে, সেটাও বুঝিয়ে দেন কল্যাণ। ফুরফুরা শরিফ সম্পর্কে কল্যাণের মন্তব্য, ‘কিচ্ছু ফ্যাক্টর নয়। ফুরফুরা যদি ফ্যাক্টর হত, তাহলে নওশাদ সিদ্দিকীকে ভাঙড়ে গিয়ে ভোটে দাঁড়াতে হত না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 2 =