সময় যত গড়াচ্ছে ততই একের পর এক তথ্য আসছে কসবার গণধর্ষণের ঘটনার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ওই নির্যাতিত ছাত্রীকে কলেজে ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত তথা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও আইন কলেজের অস্থায়ী কর্মী।
একইসঙ্গে পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রী এও জানিয়েছেন, সেদিন সন্ধ্যায় কলেজের ইউনিয়ন রুমে তাকে ডেকে নিয়ে আসে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। সেই সময় রুমেই তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও দুই অভিযুক্ত। জিএস পদে বসানোর টোপ দিয়েই অভিযোগকারীকে কলেজে ডেকে আনেন অভিযুক্ত। এরপর সেখানেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। তবে প্রস্তাব পত্রপাঠ নাকচ করেন তিনি।এরপরই মিনিটের বদলে যায় পৃথিবীটা। নির্যাতিতা ভেবেও পাননি একটা প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার ফল এতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। মুখে উপর না বলতেই চটে যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। পরিস্থিতি গম্ভীর বুঝেই ইউনিয়ন রুম থেকে ছুটে বেরিয়ে যান সেই কলেজ ছাত্রী। কিন্তু তখনই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নির্দেশে বন্ধ হয়ে যায় কলেজের মেইন গেট। এরপর ছাত্রীকে কলেজের মেইন গেট লাগোয়া নিরাপত্তারক্ষীর ঘরে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে সেই তৃণমূল নেতা, এমনটাই অভিযোগ। বাইরেই অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে কলেজে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষী।
ইতিমধ্যেই সেই নিরপত্তারক্ষীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কসবা থানার পুলিশ। রেকর্ড করা হয়েছে তার বয়ানও। নির্যাতিতা যাতে ধর্ষণের বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খোলেন, সে ব্যাপারেও রীতিমতো হুমকি দেয় অভিযুক্ত ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা। সঙ্গে এও হুমকি দেওয়া হয়েছে নির্যাতিতার বাবা–মাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ারও।