মুহূর্তের মধ্যে জঞ্জাল সাফ ধর্মতলা চত্বরে

তৃণমূলের শহিদ দিবসের সমাবেশ লক্ষলক্ষ মানুষের জমায়েত। শুধু সভামঞ্চই নয়, আশপাশের এলাকাও ছিল লোকারণ্য। সঙ্গে চলেছে দেদার খাওয়াদাওয়া তার জেরে ধর্মতলা ও তার আশপাশের অঞ্চল ভরে ওঠে বিপুল আবর্জনায় তবে সমাবেশ শেষে কলকাতা পুরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই গায়েব সেই আবর্জনার স্তূপ ৷ ঝকঝকে তকতকে হয়ে ওঠে কলকাতার রাজপথ ৷

এদিকে এদিন শিয়ালদা, হাওড়া থেকে মিছিল এসেছে। যেখানে পায়ে পা মিলিয়েছেন হাজারো মানুষ। এমনকী রবিবারে যাঁরা এসেছেন তাঁরাকলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিবাসও করেছেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেইসব জায়গা স্তূপূকৃত হয় আবর্জনা। প্রতিবারের মতো এবারও সমাবেশ চত্বরের রাস্তা ভরে গিয়েছিল প্লাস্টিক বোতল, কাগজের প্লেট, প্লাস্টিকের ব্যাগ, খবরের কাগজ, গ্লাস, চায়ের ছোটছোট কাপে ৷ সঙ্গে ছিল খাবারের উচ্ছিষ্ট, শালপাতা, ফলের খোসাসহআরওঅনেককিছুই।

সোমবার একুশের সমাবেশ শেষ হতেই কলকাতা পুলিশের তরফে আগত তৃণমূল কর্মীসমর্থকদের উদ্দেশ্যে সভাস্থল ফাঁকা করে দেওয়ার জন্য ঘোষণা শুরু হয় ৷ কারণ, ভিড় সরলে তবেই সেখানে কলকাতা পুরনিগমের জঞ্জাল সাফাই বিভাগের কর্মীরা কাজ শুরু করতে পারবেন৷ আর ভিড় সরতেই মুহূর্তে ঝাঁটা হাতে কেএমসির কয়েকশো কর্মীও রাস্তায় নেমে পড়েন ৷ দ্রুতগতিতে চলে সাফাই পর্ব।

একাধিক হ্যান্ড কার্ট, ২৫টি অটো ট্রিপার বা ব্যাটারি চালিত গাড়ি কাজ করা শুরু করে এই আবর্জনা সরাতে। পাশাপাশি রাস্তায় নামানো হয় পাঁচটি মেকানিক্যাল সুইপার গাড়ি ৷ যার মাধ্যমে রাস্তার ধার, নর্দমার গালিপিট পরিষ্কার করা হয় ৷ চলে ২৩টি মোবাইল কম্প্যাক্টর মেশিনও ৷ তাতে আবর্জনার পরিমাণ কমানোর কাজ হয় ৷ পরবর্তী সময়ে সেই আবর্জনা বেশ কয়েকটি ডাম্পারে করে ধাপায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷

সমাবেশ স্থলসহ আশপাশের রাস্তা, মাঠ, বাসস্ট্যান্ড পরিষ্কারের কাজ দ্রুততার সঙ্গে শেষ যাতে হয় তার জন্য  কলকাতা কর্পোরেশন তরফে জঞ্জাল সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ ও বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার, মেয়র পারিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার পুরো বিষয়টির তদারকি করেন ৷ ছিলেন খোদ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও ৷ গোটা বিষয়টি তদারকি করেন জঞ্জাল সাফাই বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =