বাংলাদেশে শনিবার যে ভূমিকম্প হল যার রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.৬। শনিবার সকাল ন’টা পাঁচ মিনিট একত্রিশ সেকেন্ডে এদিকে বাংলাদেশের সময় ন’টা পঁয়ত্রিশ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় বাংলাতেও। দক্ষিণ কলকাতার কিছু অংশেও অনুভব করা হয়েছে ভূমিকম্প। এরই পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জেলায় মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর-সহ গোটা রাজ্যে কম্পন অনুভূত হয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের টাকি, হিঙ্গলগঞ্জ-সহ বেশ কিছু এলাকায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ও কান্দি-সহ বেশ কিছু জায়গায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভব হয়েছে।
তবে বারবার এই ভূকম্পনের কারণ শহর কোন ক্ষতির দিকে পা বাড়াচ্ছে তা নিয়ে আশঙ্কায় গোটা রাজ্য। এদিকে খড়গপুর আইআইটির ভূ-তত্ত্ব ও ভূ-পদার্থবিদ্যায় অধ্যাপক শঙ্করকুমার নাথ বলেন, ‘কলকাতার ক্ষেত্রে বিপদের কারণ হতে পারে তীব্র ভূমিকম্প।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত। এই জায়গায় ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। তাঁর কথায় কলকাতার ‘আসল বিপদ’ নির্মাণকাজ নয়, বরং ভূমিকম্প। বিশেষজ্ঞের মতে, ‘যদি কলকাতায় কোনও ভূমিকম্প হয় যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫.৫-এর বেশি সেক্ষেত্রে শহরে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। মাটির নীচে যে অবস্থান থাকে অর্থাৎ ‘জিওলজিক্যাল সেট আপ’ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। সেই সময় এই বহুতলগুলির বিপদের একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।’ বিষয়টি বিস্তারে ব্যাখ্যা করে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘ভূমিকম্প হলে চোরা মাটি তৈরি হবে। সেই সময় হাইরাইজ বা বহুতল বাড়িগুলি ধসে যেতে পারে।’ তাঁর কথায় মাটির নীচে জলের স্তর আছে তাই পাইলিং ঠিক মতো না হলে তা ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে যা বাড়ি ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।