২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চান গিরিরাজ

একশো দিনের কাজের টাকা দাবিতে তৃণমূল সুর চড়াতেই পাল্টা তৃণমূলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। একশো দিনের কাজের টাকার ক্ষেত্রে বাংলায় প্রচুর ভুয়ো জব কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ গিরিরাজের। আর এই একশো দিনের কাজের টাকার ইস্যুতে সোমবার সিবিআই তদন্তের পক্ষে সওয়ালও করতে দেখা করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে। একইসঙ্গে গিরিরাজের দাবি,  ‘ইউপিএ আমলে তুলনায় প্রায় চার গুণ বেশি টাকা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ইউপিএ আমলে ১০০ দিনের কাজের জন্য ১৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। আর মোদি সরকারের আমলে বাংলাকে এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে ৫৪ হাজার ১৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৪৫ লাখ বাড়ি হয়েছে। তারপর ফের ১১ লাখ বাড়ির ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।’

এখানেই শেষ নয়, গিরিরাজ এদিন এও জানান, ‘সরকারের টাকা লুঠ হচ্ছে। যাঁদের বাড়ি পাওয়া উচিত, তাঁরা বাড়ি পাচ্ছেন না। অথচ যাঁদের দোতলা বাড়ি আছে, তাঁদের বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। এরপরেও আমরা বিধবা ভাতা, পেনশন, সড়ক যোজনার টাকা আটকাইনি। কিন্তু যখনই আমরা টাকা লুঠের খবর পেয়ে যাচাই করতে গেলাম আমাদের সঙ্গে তখন নূন্যতম সহযোগিতাও করা হল না।’ এরই রেশ ধরে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি এও জানান, ‘এই সরকার শুধু লুঠ করে, হত্যা করে। বাংলার মানুষের কাছে জবাব দেওয়ার মতো কোনও উত্তর তাদের কাছে নেই। এঁদের আচরণ শহুরে নক্সালদের মতো।’ এরই পাশাপাশি ২৫ লাখ মনরেগার জবকার্ডের টাকা কোথায় গেল, এদিন এ প্রশ্নও তোলেন গিরিরাজ।

এরপরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে সরাসরি হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী গিরিরাজ বলেন,  ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, গরিবের লুঠ করা টাকা গরিবদের ফেরত দিন। ২৫ লাখ ভুয়ো জবকার্ডের টাকা কোথায় ব্যবহার করা হয়েছে, এটা কেন্দ্রীয় সরকার ও দেশবাসী জানতে চায়।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − eight =