গোয়েন্দার ভূমিকায় এবার গোপাল ভাঁড়। এতদিন ধরে তিনি সোনি আট চ্যানেলে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন। কিন্তু তাঁর বাংলায় হতে চলেছে শত্রুর আক্রমণ। আর তা থেকে বাংলাকে বাঁচাতে এক্কেবারে কলকাতায় হাজির গোপাল। ঘাড়ে বড়সড় দায়িত্ব যা তিনি আঁচ করছেন সেগুলো সত্যি কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে তাঁকে। এই সব ঘটনার জড়িয়ে রয়েছে নানা রহস্যও। আর এই রহস্যের সমাধান করতে পারলেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। তবে কলকাতায় এসে গোপাল ভাঁড় সত্যিই কোনও রহস্য উন্মোচন করতে পারল কি না তা জানতে আগ্রহ সবারই। আর এর উত্তর খুঁজে পেতে চোখ রাখতে হবে সোনি আট- বাংলা বিনোদন চ্যানেলে।
এখানে বলে রাখা ভাল, গোপাল ভাঁড় অত্যন্ত পরিচিত এক নাম বঙ্গের সর্ব স্তরের মানুষের কাছে। এখনও ছোট থেকে বড় সবারম মুখে হাসি ফোটায় গোপাল ভাঁড়। কে বলেন তিনি নেই? হাসিতে, গল্পের বইয়ের পাতায়, কার্টুনে, স্মৃতিতে-ভালোলাগায় তাঁর অবাধ বিচরণ। প্রচলিত কথায় জানা যায়, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় গোপাল ভাঁড় ছিলেন বিশেষ সমাদৃত। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বিশ্বাস বাড়িতে জন্ম গোপাল ভাঁড়ের সম্পর্কে এমনই তথ্য পাওয়া যায়। ইতিহাস উলটে দেখতে সেই সময় ঘূর্ণি অঞ্চলে ২০০ মানুষের বসবাস ছিল। গোপালের পদবি ছিল ‘না’ অর্থাৎ নাপিত। গোপালের বাবার নাম ছিল দুলাল না। আর জাত নিয়ে ভেদাভেদের কারণেই তাঁকে সেই সময় ব্রাহ্মণরা ছলে বলে কৌশলে বিভিন্ন সমস্যায় ফেলেছিলেন। গোপাল কিন্তু ব্রাহ্মণদের কাছে মাথা নীচু করেননি। বুদ্ধি দিয়ে ‘কুস্তি লড়ে’ কিস্তিমাত করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁরা এও জানান, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভার পরামর্শদাতা গোপালকে রাজা ছাড়া অন্যরা সেভাবে পছন্দ করতেন না। গোপাল নাপিত রাজার কাছের মানুষ হয়ে উঠছেন তা মেনে নিতে পারেননি ব্রাহ্মণরা। কিন্তু গোপাল লড়ে গিয়েছিলেন। বুদ্ধি, হাসি, মজায় গোপাল জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন পরীক্ষায়। সেই সময় ব্রাহ্মণরাই তাঁকে গোপাল ভাঁড় বলে ডাকতেন। এই গোপাল ভাঁড়কেই নিয়েই এক ধারাবাহিক চলছে সোনি আটের মতো এক বেসরকারি চ্যানেলে। যা সম্প্রতি ১০০০ পর্বের মাইল ফলকও ছুঁয়েছে।