ফের প্রাক্তন আইপিএসকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ রাজ্যপালের

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাচ্ছে। ফলে উভয়ের সম্পর্ক এসে ঠেকেছে তলানিতে।এমনই এক আবহে ফের রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস। সেই উপাচার্যদের তালিকায় রয়েছেন এক জন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। এর আগেও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে এক অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-কে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল।

ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেলেন অচিন্ত্য সাহা। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন বিবি পারিদা। নিখিল চন্দ্র রায় পেয়েছেন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে দিলীপ মাইতিকে। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন সিএম রবীন্দ্রন।

সিএম রবীন্দ্রনকে নিয়েই নতুন করে শুরু হচ্ছে বিতর্ক। এই রবীন্দ্রন আদতে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। ১৯৭৭ ব্যাচের আইপিএস অফিসার তিনি। সিকিমের ডিজিপি হিসাবে সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসের প্রথম সেক্রেটারি ছিলেন তিনি। ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টরও ছিলেন এই রবীন্দ্রন। এমনকি সিভি আনন্দ বোসের কর্মযোগী পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত আমলাকে ফের উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করার পরই ফের বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। এর আগে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার এম ওয়াহাবকে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব দিয়েছিলেন সিভি আনন্দ বোস।

ফের অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএসকে অন্তর্বতী উপাচার্যের আসনে বসানো নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা যায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে এসে তিনি জানান, ‘রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টকেও যদি মানতে না চান, সেটা তাঁর অভিরুচি। বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন রয়েছে। আমরা নিশ্চিতভাবে বিষয়টি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। এটা কতটা আইনসঙ্গত কি না, তাও আদালতের সামনে তুলে ধরব। উপাচার্য হতে গেলে ইউজিসি-র যে নিয়ম রয়েছে তাও রাজ্যপাল মানছেন না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 1 =