দিল্লি থেকে ফিরে শপথ ইস্যুতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবেন রাজ্য়পাল, ধারনা কুণালের

উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই ভাবী বিধায়কের শপথগ্রহণ ঘিরে জটিলতা এখনও অব্যাহত। এখনও বিধায়ক পদে শপথ নিয়ে উঠতে পারনেনি সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকার। সূত্রে খবর, সোমবার রাজ্যপাল বোসকে ফের একদফা চিঠি পাঠিয়েছেন সায়ন্তিকারা। এসবের মধ্যেই এবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য। কুণাল বলেন, ‘যেটুকু খবর পেয়েছি, স্পিকার তাঁর বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দুই বিধায়কও তাঁদের আবেদন করে দিয়েছেন। এদিকে রাজ্যপাল এই মুহূর্তে কলকাতায় নেই, দিল্লিতে রয়েছেন কোনও কাজে। আমরা আশাবাদী তিনি দিল্লি থেকে ফেরার পরই এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ করবেন এবং দুই বিধায়কের শপথের জটিলতা কেটে যাবে।’

রাজ্যপাল বোসের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কড়া ভাষায় রাজনৈতিক বিরোধিতা জানালেও, ব্যক্তিগত স্তরে বোসের সঙ্গে তৃণমূল নেতার কুণাল ঘোষে সম্পর্ক বেশ ভাল। ২০২৩-এর কুণালের পাড়ার দুর্গাপুজোয় গিয়ে অষ্টমীর অঞ্জলিও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক ভাল হলেও, রাজ্যপালের একাধিক সিদ্ধান্তে রাজনৈতিকভাবে খড়্গহস্ত হতে দেখা গিয়েছে কুণালকে। এবারও দুই ভাবী বিধায়কের শপথগ্রহণ জটিলতার মাঝে কুণাল হুঙ্কার দিয়েছিলেন, জটিলতার অবসান না হলে ‘আনটোল্ড স্টোরি অব হোটেল তাজ প্যালেস, নিউ দিল্লি’ প্রকাশ্যে আসবে। সেই নিয়ে কুণালকে প্রশ্ন করায় তিনি বলেন, ‘রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের রাজনৈতিক দ্বিমত থাকে। কিন্তু তিনি বয়সে বড়। তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধাও করি। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলে সমালোচনা হবেই। এখন দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে একটি রাজভবনকেন্দ্রিক জট হয়ে রয়েছে। রাজ্যপাল সেই জটটা খুলতে পারেন। তিনি কলকাতার বাইরে। যেটুকু জানি, কলকাতায় ফিরেই তিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ তবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে এই শপথগ্রহণ ঘিরে তাঁর কোনও কথা হয়নি বলেও জানান কুণাল ঘোষ। তৃণমূল নেতার দাবি, তিনি নিজের বিশ্বাস থেকেই বলছেন রাজ্যপাল কলকাতায় ফেরার পর জট খোলার জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত জানাবেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 5 =