শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই বলে সোমবারই জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে শাহজাহানকে। এবার শেখ শাহজাহানের দ্রুত গ্রেফতারি চেয়ে রাজ্যকে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস, এমনটাই খবর বিশেষ এক সূত্রে। যদিও রাজভবনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানান হয়নি।
সূত্র মারফৎ এও জানা গিয়েছে, চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, যদি প্রশাসন শেখ শাহজাহানকে ধরতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজভবনে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এছাড়াও সন্দেশখালিতে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এক শিশুকে ছুড়ে ফেলে দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল, তার প্রেক্ষিতেও রাজ্যকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সি ভি আনন্দ বোস। এই তদন্তের রিপোর্টও রাজভবনে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই চিঠিতেই।
প্রসঙ্গত, শেখ শাহজাহান এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় গত রবিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘আদালত হাত-পা বেঁধে রাখার কারণেই গ্রেফতার করা যাচ্ছে না শেখ শাহজাহানকে।’ শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়ার দায় কার্যত আদালতের ওপরেই চাপিয়েছিলেন তিনি। এরপরই দেখা যায় সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, শাহজাহানকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। একইসঙ্গে আদালত বান্ধব আইনজীবী বলেন, ‘এক সাংসদ বলেছেন আদালতের জন্যই শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়নি, এটা স্পষ্ট করা দরকার যে কোথাও স্থগিতাদেশ নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হতে হয় ইডির কর্তাদের। রক্তাক্ত হন তাঁরা। তারপর থেকেই শিরোনামে রয়েছে সন্দেশখালি। আর কিছুদিন আগে থেকে শেখ শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, অজিত মাইতিদের গ্রেফতার করা হয়। এরপরও শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামের মহিলারা। শাহজাহানের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, আর সেই দখল করা জমিতে ভেড়ি তৈরি, নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগ তোলা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি তাঁকে।