২২ এপ্রিল তারক মেহতা কা উলটা চশমা খ্যাত রোশন সিং সোধি ওরফে গুরুচরণ সিং-য়ের নিখোঁজের খবরে তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাড়ি ফেরার দিনেই নিখোঁজ হওয়ায় গুরুচরণ সিংয়ের বাবা থানায় ছেলের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারক মেহতার সেটে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাঁর খোঁজ পেতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে দিল্লি, মুম্বই ও পঞ্জাব পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার নিজেই বাড়ি ফিরলেন ছোট পর্দার রোশন সিং সোধি। কিন্তু হঠাৎ কী এমন কারণেআচমকা বাবা-মাকে চিন্তায় রেখে দূরে চলে গিয়েছিলেন অভিনেতা তা নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। অবেশেষে মুখ খুললেন গুরুচরণ স্বয়ং।
সূত্রে খবর, গুরুচরণ সিং এই পার্থিব জীবন থেকে ক্ষণিক বিরতি চেয়েছিলেন। সেই জন্যই আধ্যাত্মিক জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন। তীর্থ করছিলেন পর্দার রোশন সিং সোধি। গত কয়েকদিন ধরে অমৃতসর, লুধিয়ানা সহ বিভিন্ন শহরের গুরুদ্বারে গিয়েছেন বলে জানান গুরুচরণ সিং। কিন্তু পরে তাঁর মনে হয়েছে এবার বাড়ি ফেরা উচিত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লি পুলিশকে এমনই জানিয়েছেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, দিল্লি থেকে ২২ এপ্রিল নিখোঁজ হন রোশন সিং সোধি। এই খবর সামনে আসতেই হইচই পড়ে ভক্তমহলে। দিল্লি থেকে ওইদিন বিমান ধরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, সময় পেরিয়ে যাওয়ায় গুরুচরণের বাবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘আমার ছেলে গুরুচরণ সিং। ওঁর বয়স ৫০ বছর। ২২ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটটায় মুম্বই যাচ্ছিল। ফ্লাইট ধরার জন্যই বিমানবন্দরে আসছিল। কিন্তু, মুম্বই এসে পৌঁছায়নি। দিল্লিতেও ফিরে যায়নি। ফোনও পাওয়া যাচ্ছে না। মানসিক কোনও অশান্তি ছিল না। আমরা আমাদের ছেলেকে খুঁজছি। কিন্তু, এখনও নিখোঁজ।’
উল্লেখ্য, গুরুচরণের নিখোঁজ হওয়াকে পাবলিসিটি স্টান্ট বলেও খোঁচা দিয়েছিলেন ফাইজান আনসারি। তাঁর মতে, ‘প্রচারের জন্য এমন ভুল পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। এর আগে পুনম পান্ডেও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। আমার মতে এটা ভুল। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এই ধরনের লোকদের বয়কট করা উচিত। বলিউডে পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য এই লোকেরা গোটা ইন্ডাস্ট্রির বদনাম করছে। তিনি যদি প্রতিভাবান হন তাহলে এইরকম এমন মিথ্যা প্রচারের প্রয়োজন হয় না।’