এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে পলাশীর যুদ্ধের মতো ‘হ্যান্ড কামান’ ব্যবহৃত হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, ডায়মন্ড হারবারে পলাশীর যুদ্ধের মতো ‘হ্যান্ড কামান’ ব্যবহার করা হয়েছে। এত অস্ত্র এবারের নির্বাচনে কোথা থেকে এল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর এই ঘটনায় তিনি এনআইএ তদন্তের দাবিও জানান। এরই পাশাপাশি ভোট সম্পন্ন করতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশও মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় সরকার ভাবছেন কি না জানি না, এই রাজ্যে ৩৫৬ অথবা নির্বাচনের সময়ে ৩৫৫ জারি করে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ না করতে পারলে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভোট হতে পারে না। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে কলকাতা হাইকোর্ট যা নির্দেশ দিয়েছিল, তা-ও মানা হয়নি।’
শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামে বসে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলার মাঝেই জনগণের অভ্যুত্থানের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী, বেলা চারটের মধ্যে খুন হয়েছেন ১৬ জন। যদিও কমিশনের বক্তব্য, মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। শুভেন্দু নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ড থেকে নিহতদের ৫০ লক্ষ টাকা , আহত ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
এর পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিরোধীরা ছাপ্পা ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগও তোলেন। শুভেন্দু সেই বুথগুলিতে পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানান। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু এও বলেন, ‘রাজীব সিনহাকে বলছি, যেখানে ছাপ্পা হয়েছে, বাক্স ফেলা উচিত। রিপোল হবে।‘