আমায় ফাঁসি দিন, দোষ স্বীকার করে আর্জি অভিযুক্তের

নিজের দোষ স্বীকার করল অভিযুক্ত। লাগাতার জেরার মুখে কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল সে। শেষমেশ নিজের সমস্ত দোষ কবুল করে নেয় বলেই জানা যাচ্ছে। জেরার সময় সে তদন্তকারী আধিকারিকদের বলেছে, ‘আমায় ফাঁসি দিয়ে দিন।’

প্রসঙ্গত, ছাত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন, ওই মহিলা চিকিৎসক খুন হয়েছেন ভোর তিনটে থেকে ছ’টার মধ্যে। বিষয়টি জানার পরই সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তারা। তখনই অভিযুক্তর গতিবিধি নজরে আসে পুলিশ আধিকারিকদের। বাড়ে সন্দেহ। প্রথমে আটক করা হয় তাকে। চলে ম্যারাথন জেরা। সেই সময় আধিকারিকদের কার্যত ‘ঘোল’ খাওয়াতে থাকে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়র। সে প্রথমে জানায় ওই সময় চেস্ট মেডিসিন বিভাগে রোগীদের দেখতে গিয়েছিল সে।

তবে দুঁদে গোয়েন্দাদের নজর এড়ায়নি। তাঁরাও সোজা রোগীদের কাছে পৌঁছে যান। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা আছে কি না, চেনেন কি না তা রোগীদের কাছে জানতে চায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, রোগীরা জানিয়ে দেন এরকম কাউকে তাঁরা চেনেন না। ওই নামের কেউ তাঁদের কাছে আসেনি। তাতেই আরও সন্দেহ বেড়ে যায় পুলিশের। অভিযুক্তকে চেপে ধরতেই তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়ে। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।

এ দিকে, ম্যারাথন জেরার পরই আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেনি অভিযুক্ত বলে খবর। যখন তদন্তকারীরা তার সামনে একের পর এক প্রমাণ তুলে ধরেন ভেঙে পড়ে সে। কার্যত বুঝে যায় ‘খেল’ খতম। এরপর আর কোনও পথ না পেয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে অভিযুক্ত বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 6 =