ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য শনিবারে বাতিল করা হয়েছিল একাধিক লোকাল। একই ছবি ধরা পড়ল রবিবারেও পূর্ব রেলের শিয়ালদার মেন শাখায়। দমদমে ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য বাতিল শতাধিক লোকাল। তাতেই রবিবার ছুটির দিনেও শিয়ালদা মেইন লাইন ও শিয়ালদা – বনগাঁ শাখায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে ওঠে। ছুটির দিনে অফিস যাত্রীদের চাপ কম সেকথা ঠিকই কিন্তু অন্যান্য নানা ধরনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ তো আর আটকে থাকতে পারে না। ফলে নানা প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়েছেন বহু মানুষ। এখানে একটা কথা বলতেই হয়, শিয়ালদহ স্টেশনের পাশেই রয়েছে এনআরএস, মেডিকেল কলেজের মতো হাসপাতাল। রয়েছে কোলে মার্কেট, কিছু দূরেই কলেজ স্ট্রিট, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বউ বাজার। তাই শিয়ালদহ স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেই রোজ আসেন হাজার হাজার মানুষ।অন্যদিকে এদিনই ছিল এক সরকারি পরীক্ষাও। ফলে সকাল থেকেই নানা স্টেশনে ছিল পরীক্ষার্থীর এক বড় ভিড়। কিন্তু, ট্রেন ধরতে এসে বিপাকে সকলেই। অনেকে আবার বলছেন তাঁরা জানতেনই না ট্রেন বাতিল আছে। কিন্তু, ট্রেন না পেয়ে কেউ এক ঘণ্টা, কেউ আবার আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে বাধ্য হয়েই। কারণ, ট্রেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবহণে সময় সূচির তোয়াক্কা না করে চললে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোটাই সমস্যার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। তবে যাঁদের উপায় ছিল তাঁরা এদিন বেছে নিয়েছিলেন মেট্রোকেই। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলেছে যে, ট্রেনের সমস্যার কারণে অনেকই সঠিক সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি। ফলে তাঁদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, দমদম স্টেশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য শিয়ালদা মেইন শাখায় বাতিল ১৪৩টি লোকাল ট্রেন। বাতিল রয়েছে ৩টি দূরপাল্লার ট্রেন। বেশ কিছু ট্রেন ঘুরপথে চলছে। এদিকে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, এই সমস্যা কিছুটা থাকবে সোমবারও। তবে দুপুর বা বিকেলের সম্পূর্ণ ভাবেই স্বাভাবিক হবে শিয়ালদা মেন লাইনে পরিষেবা।
তবে এই কাজ হয়ে গেলে সুখবর রয়েছে যাত্রীদের জন্য। কারণ নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ সমাপ্ত হলে শিয়ালদা শাখায় একলপ্তে অনেকটাই বেড়ে যাবে ট্রেনের সংখ্যা। পূর্ব রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ট্রেন বাড়ার সম্ভাবনা তো হয়েই গেল। এবার ৩৪৪টা ট্রেন চালাতে পারব, সেই ক্যাপাসিটি করা থাকল। ফলে ট্রেন সংখ্যা এবার চাহিদা অনুযায়ী যে কোনওদিন বাড়ানো সম্ভব হবে। যেখানে ২৯৬ ছিল, এবার সেই সংখ্যাটা বাড়ানো যাবে অনেকটাই।