চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন ব্রেন ডেথ। গ্রামীণ হাওড়া রাজাপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হওয়ার পর থেকে হরিপদকে চোখের সামনে সারাজীবনের মতো হারিয়ে যেতে দেখছেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসকরাও জানিয়ে দিয়েছেন আর কিছু করার নেই। এরপরই হরিপদকে বাঁচিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের সব সদস্যই। একজন নয়, পাঁচ জনের মধ্যে বেঁচে থাকবেন হরিপদ। ব্রেন ডেথ ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর একসঙ্গে ৫ টি অঙ্গদান করার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। নিঃসন্দেহে এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে এক নজির স্থাপন করল হাওড়ার রানা পরিবার।
জানা গিয়েছে, গ্রামীণ হাওড়া রাজাপুর এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন হরিপদ রানা। এরপর কলকাতার এসএসকেএম-এ ভর্তিও করা হয়। কিন্তু, এরপর থেকে ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপর হয় তাঁর ব্রেন ডেথ। তা জানার পরই পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্তে তাঁর হার্ট, লিভার, কিডনি, স্কিন ও হাত দান করা হয়। অঙ্গ দানের প্রক্রিয়াটি হয় এসএসকেএম-এই। এরপর গ্রিন করিডর করে হার্ট নিয়ে আসা হয় হাওড়ার নারায়না হাসপাতালে। এখানেই হার্ট প্রতিস্থাপন করা হবে কল্লোল কুমার চৌধুরীর (৫৭) শরীরে। বারাসতের কালিকাপুরের টাকি রোডের বাসিন্দা কল্লোল বাবু পেশায় হাইস্কুলের ক্লার্ক। তাঁর হার্ট প্রতিস্থাপনের দরকার ছিল। এতে নতুন জীবন ফিরে পেলেন বারাসাতের টাকি রোডের বাসিন্দা কল্লোল কুমার চৌধুরী।