বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা হরিশ মাগোনের জীবনাবসান। ১ জুলাই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ৭৬ বছরের এই অভিনেতা। অভিনেতার স্ত্রী জীবিত। তাঁর ছেলের নাম সিদ্ধার্থ মাগোন এবং মেয়ের নাম আরুশি। প্রয়াত অভিনেতার মেয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুরের বাসিন্দা।
১৯৪৬ সালের ৬ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে তৎকালীন বম্বে প্রেসিডেন্সিতে জন্মগ্রহণ করেন হরিশ মাগোন। ১৯৭৪ সালে পুনের এফটিআইআই থেকে স্নাতক হন তিনি। এরপর একাধিক কালজয়ী বলিউডি ছবিতে কাজও করেন। এই তালিকায় রয়েছে ‘নমক হালাল’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘খুশবু’, ‘ইনকার’, ‘মুকাদ্দার কা সিকন্দর’, ‘গোলমাল’, ‘শাহেনশাহ’র মতো ছবি। শেষবার ‘উফ! ইয়ে মহব্বত’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ওই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৭ সালে।
পরবর্তীতে অভিনয় শেখাতে শুরু করেন হরিশ মাগোন। নিজের নামে মুম্বইয়ে জুহুতে একটি অ্যাকটিং ইনস্টিটিউট খোলেন তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষক হিসেবে রোশন তনেজার অ্যাকটিং ইনস্টিটিউটের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৮ সাল থেকে সিআইএনটিএএ-র সদস্য ছিলেন হরিশ মাগোন। এদিন সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনই হরিশের প্রয়াণের খবর প্রকাশ্যে এনে শোকপ্রকাশ করে। সিআইএনটিএএ-র তরফে করা ওই টুইট বার্তায় লেখা হয়, ‘হরিশ মাগোনের প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। তাঁর পরিবারের সমব্যথী আমরা। উনি ১৯৮৮ থেকেই আমাদের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।’
অভিনেতা হরিশের জীবনাবসানের খবর পেয়ে অনেকেই টুইটারে অনেকেই শোকপ্রকাশ করেন। এক নেটিজেন আঁধি ছবির একটি গানের দৃশ্য শেয়ার করে লেখেন ‘হিন্দি সিনেমায় মিষ্টি ক্যামিওর জন্য সবসময় হরিশ মাগোনকে মনে রাখব আমরা।’ হরিশ সম্পর্কে একটি অজানা তথ্য দিয়ে তাঁর সংযোজন, ‘গুলজারের সহকারী মিরাজের বন্ধু ছিলেন উনি। সেই সূত্রেই বলিউডে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন। আঁধি ছবির এই গানে প্রথম ব্রেক পান উনি।’ পরে ‘খুশবু’ এবং ‘গোলমাল’ ছবিতে হরিশ অভিনীত দৃশ্য শেয়ার করেছেন ওই টুইটার ইউজার। গুলজার পরিচালিত খুশবুতে শর্মিলা ঠাকুরের ইন্ট্রোডাকশন সিনে জিতেন্দ্রর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল হরিশকে।
এদিকে গোলমাল ছবিতে উৎপল দত্তর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন তিনি। ওই পোস্টের কমেন্টে অন্য এক টুইটার ইউজার লেখেন, ‘গতকালই পরিবারের সঙ্গে বসে গোলমাল দেখছিলাম। হরিশ মাগোন অভিনীত দৃশ্য দেখে আলোচনা করছিলাম যে একসময় বলিউডে কী শক্তিশালী ক্যামিও থাকত।’