প্রাথমিকের নতুন মামলায় ইডি-সিবিআইকে যুক্ত করার নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রাথমিকের নতুন মামলায় মঙ্গলবার দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআইকে অবিলম্বে যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে সিবিআইকে নির্দেশ দেন মানিক ভট্টাচার্যকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার। একই সঙ্গে ইডিকেও বিচারপতির নির্দেশ, এই মামলায় কোনও আর্থিক তছরুপ হয়ে থাকলে তদন্ত করতে পারবে তারা। প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতে নিতেও পারবে ইডি। এই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এও জানান, ‘যে ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’ একইসঙ্গে এদিন সিবিআইয়ের সিটের প্রধান অশ্বিনী শেনভিকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, ‘এই মামলাটি আইনজীবীদের কাছ থেকে দক্ষ অফিসারদের পাঠিয়ে বুঝে নিতে হবে মঙ্গলবারই। এরপর প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে মানিককে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন এই আধিকারিকরাই।’ এদিকে মানিককে রক্ষাকবচ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, তদন্ত চালিয়ে গেলেও মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না সিবিআই। এদিন সে কথাও মনে করিয়ে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার হাই কোর্টে প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নতুন একটি মামলা দায়ের হয়। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলাটি ওঠে। মামলাকারী সুকান্ত প্রামাণিকের তরফে আইনজীবী ছিলেন দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ওই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকের নিয়োগে পরিকল্পিত দুর্নীতি হয়েছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ছক কষে দুর্নীতি করেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে আগেই অপসারণ করা হয়েছিল মানিককে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন।     এদিকে এদিনের শুনানিতে এক ঘণ্টার মধ্যে সিবিআইয়ের সিট-প্রধানকে তলব করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সিটের প্রধান এখন শহরে নেই। তিনি দিল্লিতে রয়েছেন। এ কথা শুনে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে দিল্লি থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে যোগ দিতে বলেন। এরপরই ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন সিবিআইয়ের সিট-প্রধান। এরপরই মানিককে নিয়ে ওই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =