গুলেইন বারিতে কড়া পদক্ষেপ স্বাস্থ্য দফতরের

রাজ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে গুলেইন বারি রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। এবারে এই রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় বড় পদক্ষেপ নেওয়া হল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে। একইসঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, এই রোগের বিষয়ে প্রত্যেকটি হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সূত্রে এ খবরও মেলে যে, কী ভাবে এই রোগের মোকাবিলা করা যাবে, তা নিয়ে রবিবার রাতে দু’ঘণ্টার বিশেষ অনলাইন বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, ক্রিটিকাল কেয়ার ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা।

ওই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয়গুলি হল, গুলেইন বারি আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আর যেন কারো মৃত্যু না হয় সেইদিকে নজর রাখা। যদি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে, সেক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার পর্যালোচনা করা।

সূত্রের খবর,এই বৈঠকে মূলত জানতে চাওয়া হয়, গুলেইন বারিতে রাজ্যে বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা কত এবং তাদের শারীরিক অবস্থা কেমন তা সম্পর্কে। সঙ্গে এ নির্দেশও দেওয়া হয়, গুলেইন বারি আক্রান্তের সংখ্যা যদি বাড়ে, সে ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো যেন প্রস্তুত থাকে।

ইতিমধ্যেই, কলকাতার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজি বিভাগে অন্ততপক্ষে দুটি করে সিসিইউ বেড, শিশুদের জন্য পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের বা পিকুর দুটি বেড প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। এছাড়াও, আই সি ইউ এবং পিকু-তে চিকিৎসা কী রকম হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

এছা়ড়াও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে এবং স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, গুলেইন বারি আক্রান্ত কিনা লক্ষণ দেখে কীভাবে আগে থেকে নিশ্চিত করা যায়  তা নিয়েও। সঙ্গে এও নজর রাখতে বলা হয়, গুলেইন বারি আক্রান্তদের চিকিৎসায় প্রয়োজন ছাড়া অযথা ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনো গ্লোবিউলিন এবং প্লাজমা থেরাপি নয়, যাতে ওষুধের সংকট না দেখা যায় সে ব্যাপারেও। পাশাপাশি নির্দেশ, হাসপাতালে আসা রোগীদের, গুলেইন বারি পজিটিভ হলে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জরুরী ভিত্তিতে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্য ভবনে পাঠাতে হবে।

মূলত, গুলেইন বারি নিয়ন্ত্রণে এই কয়েকটি বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 4 =