আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপকূলের জেলাগুলিতে কয়েক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে উত্তরবঙ্গে হবে হালকা থেক মাঝারি বৃষ্টি। আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতায় আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। দু’এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। জলীয় বাষ্পের কারণে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। তবে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে।
কলকাতা শহরে সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। রবিবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৬৮ থেকে ৯১ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৯ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর উপকূল এলাকায় অবস্থান করছে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ সরবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। উপকূল সংলগ্ন এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে। সেই কারণে মৎস্যজীবীদের বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিমাংশ ক্রমশ সরে এসেছে দক্ষিণবঙ্গে। মৌসুমী অক্ষরেখা অমৃতসর, চণ্ডীগড়, মোরাদাবাদ, গোরখপুর, পটনা, দেওঘর, দিঘা ও সংলগ্ন নিম্নচাপের উপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এর জেরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছত্তিশগঢ়, বিদর্ভ ও মধ্যপ্রদেশে। অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং সিকিমে। কঙ্কন, গোয়া, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, রাজস্থানে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ও বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং দিল্লিতে।