সাইক্লোন রেমালের দাপটে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতায়। তবে কলকাতার জনজীবন যাতে মুখ থুবড়ে না পড়ে তার জন্য পুরনিগমের কর্মী থেকে আধিকারিকরা সবাই রয়েছে রেমালের সঙ্গে যোঝার জন্য।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাত ১ টা পর্যন্ত গত এক ঘণ্টায় বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন এলাকায় প্রায় ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সর্বোচ্চ বৃষ্টি এই এলাকাতেই হয়েছে এখনও। বাকি এলাকায় ১৫ মিলিমিটারের মধ্যে। তবে কলকাতা জুড়ে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ২৪-২৫টি গাছের ডাল ও গাছ ভেঙে পড়েছে। যদি কলকাতা পুরনিগমের দাবি, ইতিমধ্যেই পুরনিগমের কর্মীরা গিয়ে সেই ডাল বা গাছ রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে কলকাতা শহরে বাড়ি ভাঙার খবরও আসছে। ১০ নম্বর বিবির বাগান এলাকার ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে একজনের। নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। নিহতের নাম মহম্মদ সাজিদ (৪৮)।
কলকাতা পুরনিগমের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাত দেড়টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত গঙ্গার জলস্তর প্রায় ১৬ ফুট ছোঁবে। অর্থাৎ ১৬ ফুট উচ্চতায় যখন থাকবে, তখন কলকাতা পুর এলাকার ৭টি লকগেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই সময় ১৫০-২০০ মিলিমিটার যদি বৃষ্টি হয়, যেটাকে ভারী বর্ষণ বলা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কলকাতায় প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা জল জমে থাকবে। পরিস্থিতি নজরে রাখছেন ফিরহাদ হাকিম।
আলিপুর আবহাওযা দফতর সূত্রে খবর, বাংলা-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষে রয়েছে রেমাল। তার জেরে বাংলাদেশে ঘণ্টায় ১৩৫ কিমি বেগে ঝড় হচ্ছে। সুন্দরবনেও ঝড় বইছে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে।