রাত পোহালেই ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস। রীতি মেনেই মঙ্গলবার দিল্লির লালকেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই শুরু হবে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। সেই উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। কিন্তু, তার মধ্যেই এবার সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তান মদতপুষ্ট লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ভারতে হামলা চালানোর ছক কষা হচ্ছে। ইন্টালিজেন্স মারফত এই খবর পাওয়া মাত্রই হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে দিল্লিজুড়ে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ১৫ অগাস্ট দিল্লিতে বড়সড় জঙ্গি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠন। বোমা বিস্ফোরণ হতে পারে দিল্লির একাধিক জনবহুল এলাকা এবং রেল স্টেশনে। দিল্লিকেই প্রাইম টার্গেট করেছে এই জঙ্গিরা।
একাধিক ইন্টালিজেন্স মারফত খবর পেয়ে তড়িঘড়ি হাই অ্যালার্ট জারি করেছে দিল্লি পুলিশ। শহরজুড়ে একাধিক এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন জনবহুল এলাকা, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর এবং লালকেল্লা চত্বরে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হচ্ছে। ইন্টালিজেন্স সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় এই হামলার ছক কষছে সন্ত্রাসবাদীরা।
জানা গিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসেই স্বাধীনতা দিবসের এই হামলার পরিকল্পনার তথ্য পেয়েছিল ভারতীয় ইন্টালিজেন্স এজেন্সিগুলি। গত মে মাসে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পাঠানো হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়, লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিরা ১৫ অগাস্টে দিল্লিতে একটি বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছে। দিল্লির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, রেল স্টেশন, দিল্লি পুলিশ হেডকোয়ার্টার এমনকী ন্যাশনাল ইন্টালিজেন্স এজেন্সির দফতরে হামলা চালানোর ছক কষা হয়েছে।
চলতি বছর মে মাসে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। যেখানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর থেকে একটি জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিকে বলতে শোনা যায়, ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরগুলিকে বোমা বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে। দিল্লিতে স্বাধীনতা দিবসের দিন হামলার হুমকিও দিয়েছিল সেই জঙ্গি। সীমান্ত পারের সংগঠন এবং পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা বলে জানিয়েছে ইন্টালিজেন্স এজেন্সিগুলি। এ ছাড়াও শিখ জঙ্গি গোষ্ঠী, উগ্র বাম মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠীগুলিও উত্তর পূর্ব ভারতে হামলার হুমকি দিয়েছে। আর সেই কারণেই গোটা শহরজুড়ে নজরদারি বাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ। পেট্রোলিং ভ্যানের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ১০ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে শহরজুড়ে। ১০০ সিসিটিভি ক্যামেরা, অ্যান্টি ড্রোন সিস্টেম লাগানো হয়েছে লালকেল্লা চত্বরে।