থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত থাকলেই সাসপেন্ড করে ক্লাস থেকে বিরত করা যাবে না। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ডেড পড়ুয়াদের ক্লাস করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে আপাতত ক্লাস করতে পারবেন ৭ জন ডাক্তারির পড়ুয়া। আদালত সূত্রে খবর, এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ইন্টার্ন এবং বাকিরা পিজিটি চিকিৎসক।
শুক্রবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে মামলাটি উঠলে তিনি অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানান, আপাতত ক্লাস করতে পারবেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা। আর তা করতে গিয়ে কোনও বাধা পেলে স্থানীয় থানার সাহায্য নিতে পারবেন। তবে এখনই হস্টেলে প্রবেশে করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, এর আগে এই থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫১ জনকে সাসপেন্ড করা হলে, প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কর্তৃপক্ষকেই। এবার বর্ধমান মেডিক্যালের অভিযুক্তদের সাসপেনশন স্থগিত করে হাইকোর্ট ক্লাসের অনুমতি দেওয়ায় তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।
এদিকে এই ঘটনার সূত্রপাত গত সেপ্টেম্বরে। সাত জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের বেশ কয়েকজন ছাত্রী ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তোলেন। এরপরই ‘থ্রেট কালচারে’র অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কলেজ কাউন্সিল অবশ্য অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে। জরুরি বৈঠকে অভিযোগ খতিয়ে দেখে সাত পড়ুয়া–সহ বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করে কাউন্সিল। হস্টেলে প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। কলেজ কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই সাত পড়ুযা। তাঁদের হয়ে মামলা লড়েন আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সওয়াল করতে গিয়ে কল্যাণ জানান, ব়্যাগিংয়ে ঠিক কী অভিযোগ, তা জানানো হয়নি। ফলে একতরফা ভাবে কীভাবে কলেজ কাউন্সিল এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী কল্যাণ।
আদালত সূত্রে খবর, এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১১নভেম্বর।