স্যালাইন কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ড হওয়ার চিকিৎসক পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়কে রক্ষাকবচ কলকাতা হাইকোর্টের। মঙ্গলবার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। তবে সঙ্গে নির্দেশ, ওই চিকিৎসককে তদন্তে সহযোগিতাও করতে হবে। সে কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, স্যালাইনকাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। এই ১২ জনের তালিকাতেই ছিলেন পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন উঠেছিল অ্যানাস্থেসিয়া নিয়ে। যদিও তাঁর দাবি, কোনও গোলযোগই হয়নি। অ্যানাস্থেসিয়ার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়নি। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশের তরফে এফআইআর দায়ের হতেই তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলাতেই এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
যদিও ইতিমধ্যেই স্যালাইনকাণ্ডে প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। তা নিয়েও চাপানউতোর জারি আছে। প্রসঙ্গত, এদিনই আবার পনেরো দিনের লড়াই শেষে বাড়ি ফিরছেন মেদিনীপুর স্যালাইন কাণ্ডে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন প্রসূতি মিনারা বিবি। গত ১২ জানুয়ারি গ্রিন করিডর করে তাঁদের এখানে আনা হয়েছিল। চলছিল মরণ-বাঁচন লড়াই। মিনারা ছাড়াও আরেক প্রসূতি মাম্পি সিংহকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।