প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

২০২২ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ভুল বিতর্কে পর্ষদের রিপোর্ট জমা পড়ল হাইকোর্টে। এরপরই প্রতিটি প্রশ্ন ধরে বিশেষজ্ঞদের মতামত সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। মোট ১৫০ প্রশ্নের মধ্যে এতগুলি ভুল বা বিতর্কিত প্রশ্ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করতেও দেখা গেল আদালতকে।

মঙ্গলবার এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ বাড়ছে। এখন ২৩ টি প্রশ্ন ভুল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় মামলাকারী সবপক্ষকে এক জায়গায় বসে একই অভিযোগগুলো এক জায়গায় আনার নির্দেশও এদিন দেওয়া হয় আদালতের তরফ থেকে। সেক্ষেত্রে অভিযোগের স্বপক্ষে যে সব বই বা নথি আছে সেগুলি এক জায়গায় এনে একটি তালিকা করে সেই তালিকা পর্ষদকে দিতে হবে। সঙ্গে এও নির্দেশ দেওয়া হয়, পর্ষদকে এই তালিকা তার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে দেখিয়ে মতামত নিতে হবে। এরপরে এইসব প্রশ্ন নিয়ে তাদের রিপোর্ট দিতে হবে পর্ষদকে। শুধু তাই নয়, প্রতি প্রশ্ন ধরে ধরে পর্ষদ এক্সপার্টদের মতামত এবং তার ভিত্তি কী তা জানাতে হবে লিখিত ভাবে। পরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে। আদালত মনে করে, প্রশ্ন ও উত্তর ক্ষেত্রে কোনও স্টেটে ‘জ্যাকেট ফর্মুলা’ হতে পারে না। এটা একেক রাজ্য বা দেশ ভেদে অর্থ বদল হয়। তাই কোর্ট নিজেও এক্সপার্টদের মতামত জানতে চায়। আর এই প্রসঙ্গেই আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, এই ২৩ বিতর্কিত প্রশ্নের বাইরে নতুন করে আর কোনও প্রশ্ন নিয়ে অভিযোগ তোলা যাবে না।

উল্লেখ্য, বিগত ২০২২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ১৫টি প্রশ্নে বিভ্রান্তি রয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন পরীক্ষার্থী মৌসানা মিত্র সহ আরও বেশ কয়েকজন। পরীক্ষার্থীদের দাবি ছিল, ওই প্রশ্নগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ভুল ছিল। ভুল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে আবেদন পত্রে। অভিযোগের ভিত্তিতে ভুল প্রশ্নের সংখ্যা বেড়ে হল ২৩টি।

এদিকে বিগত ২০২২ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ভুলের বহর বাড়ছে। প্রথমে ১৩, তারপর ১৫, পরে ২১ টির শেষে এবার ওই পরীক্ষার ২৩টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে দাবি করে নতুন মামলা দায়ের হল। মোট ১৫০ তো প্রশ্নের মধ্যে এতগুলি প্রশ্ন ভুল নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য জানতে চাইলো হাইকোর্ট। পর্ষদের বক্তব্য, এক্সপার্টদের কাছে ওই সব প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। এরপরই বিচারপতি জানান, ফের বিশেষজ্ঞদের কাছে বিতর্কিত প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে সেইসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর কী হবে তা জানানো হোক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × two =