একের পর এক রাজনৈতিক মামলায় বিরক্ত হাইকোর্টের বিচারপতি

পরপর রাজনৈতিক মামলায় বিরক্তি প্রকাশ করতে শোনা গেল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে। একইসঙ্গে তিনি এও জানান, এত রাজনৈতিক মামলা শোনার সময় দেওয়া যাবে না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ২৭-২৮ টা মামলা প্রেক্ষিতে সোমবার তিনি বেশ ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই জানতে চান, শুধু কি রাজনৈতিক মামলাই শুনে যাব? সঙ্গে এও জানান, তার উপরে একই ধরনের আরও ১০টা মামলা এখনই আছে। এরপরই মামলা ছেড়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা যায় বিচারপতিকে। এদিকে ক্রমশ যেভাবে রাজনৈতিক মামলার পাহাড় জমছে, তাতে অন্যান্য মামলাকারীদেরও বক্তব্য, দূর দূরান্ত থেকে এসেও তাঁদের সাধারণ মামলা পিছিয়ে যাচ্ছে। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের গলাতেও এদিন শোনা যায় কার্যত সেই একই সুর। প্রসঙ্গত, এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে। প্রায় ১০ জনের রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন মামলায় এদিন বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি।

এরই প্রেক্ষিতে রাজ্যকে আদালত এদিন প্রশ্ন করে, যখন ভোটের আগে এত রক্ষাকবচ কোর্ট দিয়েছিল, তখন কেন রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চে বা সুপ্রিম কোর্টে যায়নি? অভিযুক্তর ভোটের আগেও যে স্টেটাস ছিল, ভোটের পরও তাই। তখন যদি এই ভাবে রক্ষা কবচ দেওয়ায় রাজ্য সমর্থন করে, তাহলে এখন কেন আপত্তি? শেষ পর্যন্ত আদালত রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার জন্য দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় আদালত থেকে। এদিকে নির্বাচনের আগে ১৫ জুলাই পর্যন্ত এই ১০ জন মামলাকারিকে রক্ষাকবচ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই রক্ষাকবচ বাড়ানোর আবেদন করা হয় বিজেপি কর্মীদের আইনজীবীদের তরফে। এরই পাশাাপাশি  কংগ্রেস, বিজেপি, আইএসএফ, সিপিএম সহ একাধিক প্রার্থী ও তাদের পরিবার রক্ষাকবচ পায় হাইকোর্ট থেকে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রক্ষাকবচ নির্দেশে বলা হয়, আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =